
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, “দেশের প্রতিটি ভোটারের আস্থা অর্জন করা এখন আমাদের অন্যতম দায়িত্ব।”
তারেক রহমান জানান, দুর্নীতি, চাঁদাবাজি ও অসদাচরণের অভিযোগে ইতোমধ্যে দলের সাত হাজারেরও বেশি সদস্যের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে কেউ বহিষ্কৃত, কেউ পদচ্যুত হয়েছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “শৃঙ্খলা দুর্বলতা নয়; বরং সেটিই আমাদের শক্তি।”
বক্তব্যে তিনি বিশেষভাবে তরুণ প্রজন্মের প্রতি গুরুত্বারোপ করেন। তরুণদের আকাঙ্ক্ষা পূরণে শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা, কর্মসংস্থান, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও ডিজিটাল উদ্ভাবনকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে বলে জানান। এ ছাড়া, অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনীতির মাধ্যমে নারী, তরুণ ও পেশাজীবীদের বৃহত্তর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরে তারেক রহমান বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং বেগম খালেদা জিয়া স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আপোষহীন লড়াই চালিয়েছিলেন। সেই উত্তরাধিকারের ধারাবাহিকতায় বিএনপি আধুনিক, শৃঙ্খলাবদ্ধ ও ভবিষ্যতমুখী বাংলাদেশ গড়ে তুলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি আরও বলেন, জনগণ চায় স্থিতিশীলতা, তরুণরা চায় বাস্তব সুযোগ, আর বিশ্ব চায় বাংলাদেশ হোক একটি বিশ্বাসযোগ্য ও সম্মানিত গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। এ প্রত্যাশা পূরণে বিএনপি দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
দলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি আহ্বান জানান, “আসুন, আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকি, শৃঙ্খলাবদ্ধ থাকি এবং জনগণের সেবায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকি। তাহলেই গণতন্ত্রের পথ হবে আরও উজ্জ্বল।”