
মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় নুরুল হক নুরসহ নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনায় একাধিক ভিডিও প্রকাশ পেয়েছে। সেই ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশের উপস্থিতিতেই কয়েকজনকে আটক করা হলেও পরবর্তীতে রহস্যজনকভাবে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়। এ ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে জনমনে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
ভিডিওতে যা দেখা গেছে প্রকাশিত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়—মেরুন রঙের টিশার্ট পরা এক ব্যক্তিকে প্রথমে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা আটক করেন।
তাকে পরিচয় জিজ্ঞাসা করলে তিনি কিছু একটা জানান। এরপর ঘটনাস্থলে উপস্থিত পুলিশ ও সেনা সদস্যরা হঠাৎ থমকে যান।
ওই ব্যক্তি দৌড়ে পালাতে চাইলে আরেকদল পুলিশ আবার তাকে আটক করে, এমনকি কলার ধরে ধস্তাধস্তিও করে।
অথচ কিছুক্ষণ পরই তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠছে— কার নির্দেশে আটক ব্যক্তিকে ছেড়ে দেওয়া হলো?
রমনা বিভাগের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মীর আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, “ভিডিওতে দেখা ওই ব্যক্তি পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের দ্বারা একসময় আটক হলেও পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। আমরা দ্রুত তাকে শনাক্ত করার চেষ্টা করছি।”
কিন্তু আটক করে ছেড়ে দেওয়ার পর আবার “শনাক্তের চেষ্টা চলছে” বলায় বিষয়টি আরও রহস্যময় হয়ে উঠছে।
নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন—যদি আটক করা হয়, তবে কে বা কার নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হলো? কোন প্রভাবশালী শক্তির কারণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী বাধ্য হলো তাকে মুক্ত করতে?
নুরের ওপর শুক্রবার রাতের হামলার মিশনে আসলেই কারা জড়িত ছিল? আরও এক নীল হেলমেটধারীর গ্রেপ্তার ভিডিও
আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, নীল হেলমেট পরিহিত আরও এক হামলাকারীকে পুলিশ ও সেনাবাহিনী আটক করেছে। ধস্তাধস্তির সময় তার জামাও ছিঁড়ে যায়। তবে এখনও তার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
বিভিন্ন মহল থেকে দাবি উঠেছে—ভিডিওতে আটক হওয়া দুই ব্যক্তিকে অবিলম্বে হাজির করতে হবে। পুলিশকে স্পষ্ট করে জানাতে হবে কার নির্দেশে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল।
নুরসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর পরিকল্পিত হামলার নেপথ্যের শক্তি চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ভূমিকা নিয়ে যত দেরি করে ব্যাখ্যা দেওয়া হবে, ততই হামলার রহস্য ঘনীভূত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।