মোঃ শাহজাহান বাশার, স্টাফ রিপোর্টার
ঢাকা, ০১ জুলাই (মঙ্গলবার), ২০২৫
তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি কর্তৃক গ্যাসের অবৈধ ব্যবহার শনাক্তকরণ এবং সংযোগ উচ্ছেদে নিয়মিত অভিযান পরিচালিত হচ্ছে।
গত ৩০ জুন (সোমবার), ২০২৫ তারিখে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ-এর নেতৃত্বে তিতাস গ্যাসের টঙ্গী জোনাল বিক্রয় অফিস ও জয়দেবপুর আঞ্চলিক বিক্রয় বিভাগের আওতাধীন শিলমুন, দত্তপাড়া ও মিরাশপাড়া এলাকায় ৩টি স্থানে অভিযান পরিচালিত হয়।
এ সময় এস. এম. ফ্যাশন, মোহাম্মদিয়া কালার ট্রেডিং ও মিথিলা লন্ড্রি ওয়াশ নামক বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শন করা হয়। তবে তাদের গ্যাস ব্যবহারে কোনো অবৈধতার প্রমাণ মেলেনি।
একই দিনে, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়ের নেতৃত্বে মেট্রো ঢাকা বিক্রয় বিভাগ-৫ এর আওতাধীন কামরাঙ্গীরচর এলাকায় অভিযান পরিচালিত হয়। এতে তাসিন স্টিল, সালাউদ্দিন এন্টারপ্রাইজ ও আহসান এন্টারপ্রাইজসহ মোট ৭টি খানাডুলি কারখানার অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
রূপসী হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে বাণিজ্যিকভাবে গ্যাস ব্যবহারের দায়ে হোটেল মালিক শেখ সজীবকে ২৫,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়।
এছাড়া বিভিন্ন গ্রাহকের বিরুদ্ধে অনুমোদিত চুলার অতিরিক্ত ব্যবহার, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে আবাসিক গ্যাস ব্যবহারের কারণে নিচের সংযোগগুলো বিচ্ছিন্ন করা হয়:
গ্রাহক সংকেত নং: ১৯০-৫৮৬৬, ইউনুস মিয়া – ৭টি ডাবল চুলা, যার মধ্যে ২টি বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহৃত,গ্রাহক সংকেত নং: ১৯০-৩২৬৬, মো. সালাউদ্দিন – অনুমোদিত ৫টির স্থলে ৭টি ডাবল চুলা,গ্রাহক সংকেত নং: ১৯০-৩২৬৭, মো. সালাউদ্দিন – অনুমোদিত ৫টির স্থলে ৭টি ডাবল চুলা,গ্রাহক সংকেত নং: ১৯০-৭৭৬৭, আবু নাসের – ১টি আবাসিক ডাবল চুলা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের অভিযোগ,গ্রাহক সংকেত নং: ১৯০-১০৭৬৮, ওয়াহিদুর রহমান – অননুমোদিতভাবে রাইজার বর্ধিতকরণ
অভিযানকালে প্রায় ৫০০ ফুট বিভিন্ন ব্যাসের লাইন পাইপ, ৫০ ফুট হোস পাইপ, ২টি বুস্টার, ৫টি লক উইং কর্ক, ৫টি পাইপ বার্নার ও ১১টি স্টার বার্নার অপসারণ ও জব্দ করা হয়।
উল্লেখ্য, সেপ্টেম্বর ২০২৪ থেকে ৩০ জুন ২০২৫ পর্যন্ত পরিচালিত অভিযানে ২৬৯টি শিল্প, ২৫৭টি বাণিজ্যিক ও ৪৪,৪৪৯টি আবাসিকসহ মোট ৪৪,৯৭৫টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ এবং ৯৭,২১৭টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। একই সঙ্গে ১৮৬ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়।
