বুড়িচংয়ে ৯৮ লক্ষাধিক টাকার ভারতীয় অবৈধ মালামাল জব্দ: বাজি, বাসমতি চাল ও মোবাইল ডিসপ্লে সহ বিপুল পরিমাণ সামগ্রী উদ্ধার বিজিবির

মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টার

কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সীমান্তবর্তী খঞ্জনী এলাকায় চোরাচালান বিরোধী পৃথক অভিযানে ৯৮ লক্ষাধিক টাকা মূল্যের ভারতীয় অবৈধ মালামাল জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। বুধবার দুপুর সাড়ে ১১টার দিকে সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি)-এর শংকুচাইল বিওপি কর্তৃক পরিচালিত এই সফল অভিযানে বাজি, মোবাইল ডিসপ্লে, বাসমতি চালসহ অন্যান্য খাদ্যপণ্য জব্দ করা হয়।

সুলতানপুর ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোঃ জিয়াউর রহমান, পিবিজিএম, বিজিবিএমএস, এএসসি স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বিজিবির গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্তবর্তী খঞ্জনী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে মালিকবিহীন ও পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় প্রায় ৭৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ ভারতীয় Golden Crown Superior High Brightness Mobile Display

এছাড়াও একই স্থানে বিজিবির আরেকটি পৃথক অভিযানে উদ্ধার করা হয় প্রায় ২২ লাখ ৪১ হাজার ৮৪৮ টাকা মূল্যের ভারতীয় আতশবাজি, বাসমতি চাল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী। দুইটি অভিযানে মোট জব্দকৃত মালামালের বাজার মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ৯৭ লাখ ৯৮ হাজার টাকা

অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. জিয়াউর রহমান বলেন—

“সীমান্তে চোরাচালান প্রতিরোধে আমাদের গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ ও অভিযানিক কার্যক্রম সর্বদা চলমান। চোরাকারবারীরা যেন সীমান্ত ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে অবৈধ মালামাল প্রবেশ করাতে না পারে, সে বিষয়ে ৬০ বিজিবি সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, এই ধরনের অবৈধ মোবাইল ডিসপ্লে ও আতশবাজি স্থানীয় বাজারে প্রবেশ করলে শুধু আইন শৃঙ্খলার অবনতি নয়, দেশের বৈধ বাজার ব্যবস্থাও চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়াও বাসমতি চাল ও অন্যান্য খাদ্যসামগ্রী চোরাচালানের মাধ্যমে আমদানির ফলে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে এবং অভ্যন্তরীণ উৎপাদকরাও ক্ষতির মুখে পড়ছেন।

স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, খঞ্জনী এলাকা দীর্ঘদিন ধরে সীমান্ত পারাপারের একটি স্পর্শকাতর পয়েন্ট হিসেবে পরিচিত। কিছু অসাধু ব্যক্তির সহযোগিতায় চোরাচালান চক্র এ পথ ব্যবহার করে ভারতে তৈরি উচ্চমূল্যের পণ্য বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায়।

অভিযানে জব্দকৃত সকল অবৈধ মালামাল পরবর্তী আইনানুগ প্রক্রিয়ায় ধ্বংস বা হস্তান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে বিজিবি সূত্র নিশ্চিত করেছে। পাশাপাশি অভিযুক্তদের চিহ্নিত করতে গোয়েন্দা তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।

 সীমান্তে বিজিবির এই ধরনের নিরবচ্ছিন্ন তৎপরতা দেশের অর্থনীতি, আইন-শৃঙ্খলা ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। স্থানীয় বাসিন্দারা বিজিবির এই সফল অভিযানকে সাধুবাদ জানিয়ে আরও কার্যকর অভিযান চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন।