ত্রিশ দিনে ২৫১টি হারানো মোবাইল উদ্ধার: তেজগাঁও ডিভিশনের মোবাইল উদ্ধার টিমের দুর্দান্ত সাফল্য, বাজার মূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা

মোঃ শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টার

📅 ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৫

“হারানো মোবাইল ফিরে পেয়ে গ্রাহকের মুখে যে তৃপ্তির হাসি দেখি, সেটাই আমাদের সবচেয়ে বড় পুরস্কার—সেটাই আমাদের শক্তি।”—এভাবেই নিজেদের কর্মপ্রচেষ্টা ও মানবিক দায়িত্বের অনুভূতি তুলে ধরেন তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) মো. রব্বানী হোসেন। তাঁর নেতৃত্বে পরিচালিত তেজগাঁও ডিভিশনের মোবাইল উদ্ধার টিম মাত্র ৩০ দিনের ধারাবাহিক ও আন্তরিক চেষ্টায় মোট ২৫১টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে, যার বাজারমূল্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা।
এ এক অনন্য দৃষ্টান্ত! রাজধানী ঢাকায় প্রতিনিয়ত শত শত মোবাইল হারিয়ে যাওয়ার মধ্যে এই পরিমাণ উদ্ধার সত্যিই প্রশংসনীয় এবং পুলিশের প্রতি জনগণের আস্থা বৃদ্ধির এক উজ্জ্বল উদাহরণ।

উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনগুলো প্রকৃত মালিকদের হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করা হয় এক বিশেষ অনুষ্ঠানে। সেখানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তেজগাঁও ডিভিশনের ডেপুটি কমিশনার (ডিসি) ইবনে মিজান, যিনি উদ্ধার টিমের সদস্যদের অভিনন্দন জানান এবং বলেন:

এই সাফল্য শুধু পরিসংখ্যান নয়—এটি জনগণের ভরসার প্রতিফলন। মোবাইল উদ্ধার কার্যক্রম আরও জোরদার করা হবে। আমরা চাই প্রত্যেক নাগরিক জানুক, পুলিশ তাদের পাশে আছে।”

অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) কবির স্যার-ও অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে মোবাইল ফেরত পাওয়া মালিকদের অভিব্যক্তি সরাসরি প্রত্যক্ষ করেন।

এই সফল অভিযানে তেজগাঁও ডিভিশনের SI (সাব-ইন্সপেক্টর) এবং ASI (অ্যাসিস্ট্যান্ট সাব-ইন্সপেক্টর)-দের নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্ব মুখ্য ভূমিকা পালন করে। তাঁরা প্রতিটি অভিযোগ খতিয়ে দেখে, প্রযুক্তিগত সহায়তা ও গোয়েন্দা তৎপরতার মাধ্যমে ফোনগুলোর অবস্থান শনাক্ত করেন এবং উদ্ধার করেন। তাদের এই নিষ্ঠা সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক।

মোবাইল ফেরত পাওয়া অনেকেই আবেগঘন কণ্ঠে বলেন,

“আমরা ভাবতেই পারিনি ফোনটা আবার ফিরে পাব। পুলিশ যেভাবে আন্তরিকভাবে কাজ করেছে, আমরা সত্যিই কৃতজ্ঞ।”

এ ধরনের ইতিবাচক কর্মকাণ্ড পুলিশি ভাবমূর্তিকে আরও উজ্জ্বল করে এবং সমাজে সেবাধর্মী পুলিশিং-এর বার্তা ছড়িয়ে দেয়। সাধারণ জনগণও যদি দ্রুত অভিযোগ জানায় এবং যথাযথ তথ্য প্রদান করে, তবে আরও বেশি হারানো ডিভাইস উদ্ধার করা সম্ভব।

তেজগাঁও ডিভিশনের এই অভাবনীয় সাফল্য গোটা ঢাকা শহরের জন্য একটি বার্তা—পুলিশের আন্তরিকতা ও প্রযুক্তি ব্যবহারের যথার্থ প্রয়োগ ঘটলে হারিয়ে যাওয়া স্মার্টফোনও ফিরতে পারে মালিকের হাতে, আর ফিরে আসে মানুষের মুখে আত্মবিশ্বাসের হাসি।