
ভারত ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করলেও আঞ্চলিকভাবে বা মালদ্বীপ-ভারতের সম্পর্কে কোনো প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন মালদ্বীপের হাইকমিশনার শিউনীন রশীদ।
বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল অ্যান্ড স্ট্র্যাটেজিক স্টাডিজ (বিস) আয়োজিত ‘মালে থেকে ঢাকা: বাংলাদেশ-মালদ্বীপ দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা জোরদারকরণ’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
হাইকমিশনার বলেন, এটি দুই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়। মালদ্বীপের ট্রান্সশিপমেন্ট মূলত শ্রীলঙ্কার সঙ্গে হওয়ায় ভারতের সিদ্ধান্তে তাদের কোনো প্রভাব পড়বে না। মালদ্বীপ দ্বিপক্ষীয় ভাবে বিষয়টির সমাধান করবে। বাংলাদেশেরও সে সুযোগ আছে। তাছাড়া আমি মনে করি ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশেরও সুসম্পর্ক আছে।
আরও পড়ুন বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধানের সঙ্গে মালদ্বীপের হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি আরও বলেন, অবৈধ প্রবাসীদের বায়োমেট্রিক তালিকাভুক্ত করার শেষ সময় ৩০ এপ্রিল। এতে প্রবাসী শ্রমিকরা নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধার আওতাভুক্ত হবে।
সেমিনারে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. নেয়ামত উল্লাহ ভূঁইয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ওবায়দুল হকসহ বিশিষ্টজনেরা অংশ নেন।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে সমুদ্র সংযোগ, বাণিজ্য, পর্যটন, মৎস্য ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে সহযোগিতার বিশাল সুযোগ রয়েছে।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন বিস চেয়ারম্যান এ এফ এম গাউসুল আজম সরকার এবং স্বাগত বক্তব্য দেন মহাপরিচালক মেজর জেনারেল ইফতেখার আনিস।