
কুমিল্লার বুড়িচংয়ে নিম্নমানের খোয়া দিয়ে নতুন সড়ক কার্পেটিংয়ের কাজ করছে এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
স্থানীয়রা দফায় দফায় মানসম্মত কাজের দাবি জানালেও, মানছে না ঠিকাদার। এদিকে কাজ ফেলে রেখে চলে যাওয়ার হুমকি দেন এলাকাবাসীকে ঠিকাদার।
রাস্তাটি বুড়িচং উপজেলার ২ নং বাকশীমুল ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কালিকাপুর গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের দক্ষিণ পাশ দিয়ে রাস্তাটা কালিকাপুর কলেজের পশ্চিম পাশ হয়ে কালিকাপুর মধ্যপাড়া মসজিদ পর্যন্ত কালিকাপুর পূর্ব পাড়ার ভেতর দিয়ে আকন্দবাড়ী পর্যন্ত নতুন সড়ক কার্পেটিংয়ের টেন্ডার দেয় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)।
সড়ক নির্মাণের কাজটি করেছেন ইউনিয়ন পরিষদ এর চেয়ারম্যান এর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।কিন্রু চেয়ারম্যান আব্দুল করিম তার পরিচিত ব্যাক্তি মালিকানা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান দিয়ে কাজ করাচ্ছেন সড়কটির।
সরজমিনে গিয়ে ঘুরে ঘুরে দেখা যায়।ইটের খোয়া এতো পচা যে চাপ দিলেই ভেঙে যায়।
এ বিষয়ে গ্রামের সজিব নামে একজন বলেন, নিম্নমানের খোয়া বা পোড়া মাটি দিয়ে সড়কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। এই খোয়া ব্যবহারে নিষেধ করা সত্ত্বেও সেগুলোই ব্যবহার করা হচ্ছে। এলজিডির লোকদের সাথে সমন্বয় থাকার কারণেই তিনি কাজটি এভাবে করছেন। একাজ দেখাশুনার জন্যও কেউ আসলে তাদের জানানোহলে তারা বলেন কাজ করতেছে এটাই বেশি ঠিকাদারকে ধরে এনে কাজ করতেছি।
ওই গ্রামের ফজলু মিয়া বলেন, নতুনভাবে সড়কটি নির্মাণ করা হলেও কাজ হচ্ছে নিম্নমানের। সড়কের মাথায় কিছুটা ভালো খোয়া দিলেও তারপর থেকে নিম্নমানের খোয়া দিয়ে কাজ চলতেছে বলে দাবি করেছেন তিনি। বৃদ্ধ আবুল কাশেম জানান, ফালাই দেওয়া রাবিশ আইনা কাজ করতেছে আমরা বুড়া মানুষ আমগো কথা কে শুনে কিছু কইলে তারা কয় আমরা বুঝি না।
একই এলাকার মোস্তফা জানান, নিম্নমানের ইটের খোয়া এবং মাটি মিশ্রিত খোয়া দিয়ে কাজ করতে ছিলো ঠিকাদার এসময় এলাকাবাসী উপজেলা জানালে তিনি আশ্বাস দেন নিম্নমানের খোয়া অপসারণ করা হবে। কিন্তু পরের দিন সকালে অফিসারাদেখতে আসবে এজন্য সকালেই নিম্নমানের ইটের খোয়া এবং মাটি মিশ্রিত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে দেখা যায়।
কিছু দিন আগে দেখি এক লোক এসে লোক দেখানো দুই জায়গায় কিছু ইটের বালি কুড়ে কিজানি কাগজে লিখে চলে গেছে। সঠিক মানের খোয়া দিয়ে সড়ক নির্মাণের দাবি স্থানীয়দের।
স্থানীয়রা আরোও জানান সড়কের কাজে বাধা সৃষ্টি করেন ভূমি অফিসের কর্মরত আবু তাহের , ভূমি মন্ত্রণালয়ের ক্ষমতা দেখিয়ে সে সরকারি ম্যাপের রাস্তায় গাছ লাগিয়ে দখল করে রেখেছে।স্থানীয়বাসিন্দারা জানান তার গাছ কাটতে বললে সে বিভিন্নভাবে গ্রামের মানুষকে হুমকি ধামকি ও গালাগালি করে।