চৌদ্দগ্রামে কানাই খাল খননে উপকৃত হবে সহস্রাধিক কৃষক

 

 

মুহা. ফখরুদ্দীন ইমন, চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা)

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে কানাই খাল খননে উপকৃত হবে খালের নিকটবর্তী গ্রামগুলোর সহস্রাধিক কৃষক। দীর্ঘ আট কিলোমিটার এ খালটির পূণখননে পাশাপাশি বাঁধ নির্মাণ করায় আশেপাশের ঘরবাড়ি ভাঙ্গনের কবল থেকে মুক্তি পাবে। এতে এসব এলাকার সাধারণ মানুষও বেশ উপকার ভোগ করবে। বোরো মৌসুমের জন্য সেচের পানির সংকট দূর করার পাশাপাশি সহজেই ধান চাষের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে। বিষয়টি নিয়ে সাধারণ কৃষকদের মাঝে আনন্দের ঝিলিক বইছে।

 

সরেজমিন পরিদর্শন করে জানা গেছে, উপজেলার ঘোলপাশা ইউনিয়নের আমানগন্ডা-ধনুসাড়ার ভেতর দিয়ে বয়ে যাওয়া এ খালের দৈর্ঘ্য প্রায় আট কিলোমিটার। এটি ধনুসাড়া ব্রিজ থেকে শুরু হয়ে গুজরা গ্রামের ভেতর দিয়ে এসে বসন্তপুর-বারাইশ, পেছাইমুড়ি হয়ে সিংরাইশ ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় এসে সমাপ্ত হয়। দীর্ঘদিন যাবৎ এ খালটির খনন না হওয়ায় এলাকার কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলো। নতুন করে এ খালের খনন কাজ শুরু হওয়ায় কৃষকদের পাশাপাশি সাধারণ মানুষও বেশ উপকৃত হবে। তবে, কিছু অসাধু লোকজন এটির বিরোধিতা করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানান অপপ্রচার চালিয়ে খাল-খনন কাজকে বাধাগ্রস্ত করার অপচেষ্টা করছে। বিষয়টি নিয়ে সচেতন এলাকাবাসী প্রতিবাদ জানিয়েছে।

 

সরকারি বিধিমোতাবেক খালটি খনন করছেন বিশিষ্ট ঠিকাদার মো: আব্দুল হাই হাসিবুর রহমান ও মো: সাইফুল ইসলাম।

ঠিকাদাররা জানান, সরকারি টেন্ডারের মাধ্যমে নিয়ম অনুযায়ী খাল খনন কাজ শুরু করি। ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ এ খালটির খনন কাজ সমাপ্ত হলে স্থানীয় কৃষকরা উপকৃত হবে। ইতিমধ্যে ১ কিলোমিটার খাল খনন কাজ সমাপ্ত হয়েছে। যতটুকু খনন সম্পন্ন হয়েছে ততটুকু অংশে খালের পাড় বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাকী কাজটুকু সম্পন্ন করা হবে। কিছু অসাধু লোক নানান অপপ্রচারের মাধ্যমে খাল খনন কাজকে বাধাগ্রস্ত করতে অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। স্থানীর উপকারভোগি কৃষকরা সহ সাধারণ সচেতন মহল এটির প্রতিবাদ জানিয়েছে। আমরাও অপপ্রচারের বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তরকে অবহিত করেছি। এ বিষয়ে প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি আমাদেরকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেছেন।