
আমাদের দেশে দুই মাস পরপর ঋতু পরিবর্তন হয়। গ্রীষ্ম বর্ষা শরৎ হেমন্ত শীত বসন্ত। ঋতু পরিবর্তনের সাথে প্রকৃতির অনেক পরিবর্তন ঘটে। বাংলার প্রতি দুই মাস মিলে একটি ঋতু হয়। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত এবং বসন্ত এই হলো আমাদের দেশে ছয় ঋতু। প্রতি ঋতুতে আলাদা আলাদা রুপ নিয়ে প্রকৃতি আমাদের মাঝে এসে হাজির হয়।
আমাদের সবার কোন না কোন ঋতু পছন্দের। কারো শীতকাল, কারো বর্ষাকাল, কারো গ্রীষ্মকাল ভালো লাগে। ঋতুর পরিবর্তনের সাথে প্রকৃতির সৌন্দর্য ভিন্নতা পায়। গ্রীষ্মকালে আমরা যেরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করি ঠিক তেমনি বর্ষাকালে অন্যরকম প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করে থাকি।বলা হয়ে থাকে আবহাওয়া ও জীববৈচিত্র্যের পরিবর্তন হলে ঋতুর পরিবর্তন হয়ে থাকে। উষ্ণতার হাসবৃদ্ধি ঋতু পরিবর্তনের অন্যতম কারণ। ঋতু পরিবর্তনের ফলে আবহাওয়া পরিবর্তন হয়। আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে প্রকৃতির বৈশিষ্ট্য অনেক পরিবর্তন হয়ে থাকে। কখনো খুব উষ্ণ, কখনো বা মৃদু, কখনো বা নিম্ন তাপমাত্রা হয়ে থাকে।
শুধু উষ্ণতা নয় প্রকৃতির পরিবেশের আরো নানা রকমের পরিবর্তন হয়ে থাকে। এক ঋতুতে এক রকম ফুল ফুটে। কোন ঋতুতে গাছে পাতা গজায় আবার কোন ঋতুতে গাছের পাতা ঝরে যায়। ঋতুর পরিবর্তনের ফলে দারুন বৈচিত্র্যপূর্ণ আবহাওয়া লক্ষ্য করা যায়।আমাদের সকলের কাছে ভিন্ন ভিন্ন ঋতু খুব ভালো লাগে। আমার কাছে শরৎ এবং শীতকাল খুব ভালো লাগে। বর্ষাকাল পরে শরৎ কালের আগমন ঘটে। শরৎকাল চমৎকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ দারুন। নীল আকাশে সাদা মেঘের ভেলা ভেসে বেড়ায়। দিগন্তের পর দিগন্ত সবুজের সমাহার। নদীর ধারে কাশফুলের অপরূপ সৌন্দর্য সত্যি হৃদয় ছুঁয়ে যায়। আমন ধানের উপর দক্ষিণা হওয়া বয়ে যায়। শাপলা, শিউলি, শেফালীসহ নানা রকম ফুলের সৌরভ এবং সৌন্দর্য আমাদের মাঝে এসে ধরা দেয়।এখন বসন্ত কাল চলছে। বসন্তের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য বেশ দারুন তবে আমার কাছে কেমন যেন; ভালো লাগে না। চারদিকে এক ধরনের রুক্ষতার ভাব । এখন থেকে প্রচন্ড গরমের উত্তাপ ছড়াচ্ছে সকাল গড়িয়ে যত দুপুরের দিকে ধাবিত হয় ততোই তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেয়ে থাকে। গরমের জন্য বাইরে যাওয়া সম্ভব হয় না। বাহিরে গেলে প্রচন্ড ধুলাবালি সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে রাস্তায় গাড়ির সাথে ধুলাবালি বাতাস ঘুরে বেড়ায়।
যা খুবই বিরক্তিকর। এমন পরিস্থিতিতে শীতের সুন্দর মুহূর্ত গুলোকে খুব মনে পড়ছে। শীতকাল যদিও ঠান্ডা কারনে খুব কষ্ট হয়। তবে শীতকাল আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। শীতকালে দিনের তুলনায় রাত অনেক বড় হয়ে থাকে। রাতে নিজের মতোন করে কাজ করা যায় বাসায় বসে। শীতের সকালে অপরূপ সৌন্দর্য খুবই মনোমুগ্ধকর। সকালে কুয়াশা ভেজা মাকড়সা জালের ফাঁকে সূর্য উঠা অসাধারণ দৃশ্য এখন আর দেখা যাবে না। সে সুন্দর মুহূর্ত গুলোকে খুবই মিস করছি হয়তো বেঁচে থাকলে আগামী এক বছর পর আবার দেখা হবে। শীতের সকালে কাঁচা খেজুর রস খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি সত্যি খুবই দারুণ। কাঁচা খেজুর রস খাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত এখনো মনে পড়লে হৃদয় শিউলিত হয়ে ওঠে। গাছপালা ঘাসের উপর শিশিরের বিন্দু খুব অসাধারণ।