
অনলাইন ডেস্ক :
সৌদি আরব যাওয়ার এক মাসের মধ্যে মৃত্যু হয় টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতি উপজেলার জাহিদুলের। দীর্ঘ ১০ মাস ধরে জাহিদুলের মরদেহ সেদেশের মর্গে পড়ে আছে।জাহিদুলের মরদেহ দেশে ফিরিয়ে আনতে এই দফতরের দ্বার থেকে সেই দফতরের দ্বারে ঘুরছেন তার স্ত্রী সুমি আক্তার।
জানা যায়, রিক্রুটিং এজেন্সি আল ফাইন ট্যুরস এন্ড ট্রাভেল্স (আর.এল-৮১২) পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রতারণার মাধ্যমে অসৎ উদ্দেশ্যে চুক্তিপত্রের যে কোম্পানির নাম উল্লেখ ছিলো কিন্তু জনশক্তি ব্যুরোর ছাড়পত্রে কোম্পানীর নাম আরেকটা উল্লেখ করে ২০২৩ সালের ২৬ জানুয়ারি সৌদি আরবের রিয়াদ পাঠান।
এদিকে মৃত্যুর পূর্বে পরিবারের সাথে নিয়মিত টেলিফোনে যোগাযোগ হলেও গত ২৬ ফেব্রুয়ারি থেকে জাহিদুলের সাথে আর কোন যোগাযোগ হয়নি পরিবারের। একইদিন একজন বাঙালি রাত আনুমানিক ৩.৩০ মিনিটে সুমিকে ফোন করে বলেন জাহিদুল মারা গেছেন এই বলে আর কোন কথা বলার সুযোগ না দিয়ে সুমির নাম্বার ব্লক করে দেন। পরিবার আর ওই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করতে পারিনি।
জাহিদুল বিদেশ যাওয়ার সময় স্ত্রী অন্তঃস্বত্ত্বা ছিলেন, বর্তমানে মৃত জাহিদুলের সেই সন্তানের বয়স দেড়মাস। পরিবার ছোট সন্তানকে নিয়ে জাহিদুলের খোঁজে অনেকবার রিক্রুটিং এজেন্সির সাথে যোগাযোগ করেও সহায়তা পায়নি। পরিবার কোন উপায়ন্তর না পেয়ে ব্র্যাক মাইগ্রেশন প্রোগ্রামের সহযোগীতায় জাহিদুলের সন্ধানে নিখোঁজ বা মৃত যায় হোক পরিবারকে জানানোর জন্য গত ১৪ আগস্ট প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ডে একটি লিখিত আবেদন করেন।
এরপর ২০ আগস্ট ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড জাহিদুলের সন্ধান চেয়ে সৌদি আরবের রিয়াদ বাংলাদেশ দূতাবাসে চিঠি প্রেরণ করে। গত ২১ সেপ্টেম্বর ওয়েজ আনার্স কল্যাণ বোর্ড থেকে পত্রের মাধ্যমে পরিবারকে জানান জাহিদুল সৌদি আরবের রিয়াদে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি মৃত্যুবরণ করেণ। মৃতদেহটি সেদেশের সাকরা হাসপাতালে সংরক্ষিত আছেন। দীর্ঘ ১০ মাস ধরে জাহিদুলের মরদেহ সেদেশের মর্গে পড়ে আছে।