অনলাইন ডেস্ক
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ফের অবনতি হয়েছে। চিকিৎসক বোর্ডের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শ অনুযায়ী তাকে আবারো করোনারি কেয়ার ইউনিট-সিসিইউ’তে স্থানান্তর করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের প্রেস উইং সদস্য শামসুদ্দিন দিদার শুক্রবার দুপুরে বিষয়টি ঢাকা টাইমসকে জানান।
তিনি বলেন, শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে কেবিন থেকে খালেদা জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়।
শারীরিক অবনতি হওয়ায় গত ১৪ সেপ্টেম্বরও খালেদার জিয়াকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। অবস্থার উন্নতি হওয়ায় চার দিন পর (১৮ সেপ্টেম্বর) তাকে কেবিনে স্থানান্তর করা হয়। এর চার দিন না যেতেই ফের তাকে সিসিইউতে নেওয়া হলো।
গত ৯ আগস্ট রাতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেই থেকে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
হার্টের সমস্যা, লিভারসিরোসিস ছাড়াও নানা শারীরিক জটিলতায় ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া। এছাড়াও আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, দাঁত ও চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতা রয়েছে তার। লিভারের পুরনো জটিলতা বাড়ায় অন্য রোগের প্রতিরোধ ক্ষমতাও দিনে দিনে কমে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। ২০২২ সালের জুনে এনজিওগ্রাম করা হলে তার হৃদযন্ত্রে তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। এর একটিতে রিং পরানো হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়ার সাজা হয়। সেদিন থেকে তিনি কারাবন্দি হন। ২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার খালেদা জিয়ার দণ্ড ছয় মাসের জন্য স্থগিত করে। তখন থেকে তিনি গুলশানের বাড়িতে থাকেন। প্রতি ছয় মাস পরপর সরকার তাঁর মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে।