কুমিল্লার তিতাসে সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন মামলার ১৬ আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনীর যৌথ অভিযানে উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের মানিককান্দি গ্রামের বাসিন্দা সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লার বাড়ি থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসময় বস্তাবন্দি বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালের ৬ ডিসেম্বর মানিককান্দি গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সাবেক চেয়ারম্যান আবুল মোল্লা গ্রুপ ও সাইফুল মেম্বার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে আবুল মোল্লার ছেলে যুবলীগ নেতা জহির মোল্লা (৩০) নিহত হন। এ ঘটনার জেরে সাইফুল মেম্বার গ্রুপের ২০টি পরিবারের প্রায় শতাধিক সদস্য বাড়ি ছেড়ে চলে যায়।
এ ঘটনার ২ বছর পুর বৃহস্পতিবার সাইফুল মেম্বারের গ্রুপের লোকজন বাড়িতে প্রবেশ করবে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। এর প্রেক্ষিতে তাদেরকে বাঁধা দেওয়ার প্রস্তুতি নেয় আবুল মোল্লা গ্রুপের লোকজন।
এ অবস্থায় স্থানীয় ছাত্র নেতৃবৃন্দের কাছে সহযোগিতা চায় সাইফুল মেম্বার গ্রুপের লোকজন। তখন ছাত্র নেতৃবৃন্দ তাদেরকে সহযোগিতা করতে এগিয়ে এসে দেখতে পায় আবু মোল্লার বাড়িতে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে অবস্থান করছে অনেক লোকজন। পরে বাড়টি অবরুদ্ধ করে সেনাবাহিনী ও তিতাস থানা পুলিশকে খবর দিলে সেনাবাহিনী ও তিতাস থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় সেখান থেকে বিভিন্ন মামলার ১৬জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং বিপুল পরিমাণ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে তিতাস থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিজুল ইসলাম বলেন, দুপুরে আমরা খবর পেয়ে সেনাবাহিনীসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযান পরিচালনা করি। বিভিন্ন মামলার এজহার নামীয় ১৬ জন আসামিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। এছাড়াও অভিযানে কিছু দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করি।
তিনি আরও বলেন, সাইফুল মেম্বার ও ছাত্র সমাজের তিন সমন্বয়কসহ মানিককান্দি গ্রামের কয়েকজন গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গকে দিয়ে একটি নাগরিক কমিটি করে দিয়ে এসেছি, যাতে পরবর্তীতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে