সফল ও ব্যর্থ মানুষের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হলো জীবনদৃষ্টি। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি সাফল্যের পথে সহায়তা করে, আর ভ্রান্ত দৃষ্টিভঙ্গি বাধার সৃষ্টি করে।
সাফল্য কেবল অর্থ ও খ্যাতি নয়; এটি মানসিক প্রশান্তি, শারীরিক সুস্থতা এবং আত্মিক উপলব্ধির ক্ষমতা। প্রকৃত সাফল্য হলো অভাববোধের অনুপস্থিতি। সফল ব্যক্তিরা আপাত ব্যর্থতা থেকে নতুন সুযোগ তৈরি করে এবং প্রতিটি অর্জনকে নতুন শুরু হিসেবে গ্রহণ করে। সাফল্য একটি সহজ স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া যা প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার। আর তা অর্জিত হয় অনেক শ্রমে, ত্যাগে। সাফল্যের পথে রয়েছে অজস্র বাধা, আছে মরীচিকা। পথ চলতে গিয়ে হারিয়ে যেতে পারেন চোরাবালিতে। সফল ও ব্যর্থ মানুষের মাঝে বাহ্যিক বা শারীরিক কাঠামোয় কোনো পার্থক্য নেই। পার্থক্য শুধু জীবনদৃষ্টিতে।
সঠিক জীবনদৃষ্টি মানুষকে সফল করে আর ভ্রান্ত জীবনদৃষ্টি তাকে ব্যর্থ করে। সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে সাফল্যের স্বর্ণদুয়ার উন্মোচনের জন্যেই সাফল্যের পঞ্চসূত্র। এ সূত্রগুলো আপনাকে দেখাবে সাফল্যের সরল পথ। সাফল্য আপনার জন্যেই অপেক্ষা করছে। সাফল্য মানে শুধু অর্থ বিত্ত খ্যাতি প্রতিপত্তি নয়, সাফল্য মানে কল্যাণকর সবকিছু করার বা পাওয়ার ক্ষমতা। প্রতিটি যুক্তিসঙ্গত চাওয়াকে পাওয়ার রূপান্তরের সামর্থ্যই। এ এক বিরামহীন প্রক্রিয়া।
সাফল্যের ধরন অনেক। মানসিক সাফল্য হলো প্রশান্তি, শারীরিক সাফল্য সুস্বাস্থ্য আর আর্থিক সাফল্য হচ্ছে সচ্ছলতা। আত্মিক সাফল্য হচ্ছে আত্ম উপলব্ধি। অর্থ-বিত্ত, খ্যাতি-সম্মান, প্রভাব-প্রতিপত্তি সাফল্যের একেকটি উপকরণ হলেও সাফল্য মানে অভাববোধের অনুপস্থিতি।
সফল তিনি-ই যিনি আপাত ব্যর্থতার ছাই থেকে গড়ে নিতে পারেন নতুন প্রাসাদ। প্রতিটি অর্জনকেই মনে করেন নতুন শুরুর ভিত্তি। প্রতিটি অর্জন শেষেই শুরু করেন আরো বড় অর্জনের অভিযাত্রা।