Home প্রবাস মালদ্বীপ বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধুর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত

মালদ্বীপ বাংলাদেশ মিশনে বঙ্গবন্ধুর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপিত

মালদ্বীপস্থ  বাংলাদেশ হাইকমিশন যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এঁর “জুলিও কুরি” শান্তি পদক প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করেছে।

আজ রবিবার ২৮ মে  এই উপলক্ষ্যে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ কমিউনিটির বিভিন্ন পেশার প্রবাসী অতিথিবৃন্দ ও দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারি অংশগ্রহণ করেন।অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করা হয়।  এরপর, “জুলিও কুরি শান্তি পদক” প্রাপ্তির সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণী পাঠ করে শোনানো হয়।  বাণী পাঠের পর অত্র অনুষ্ঠান সংশ্লিস্ট একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।

বিশেষ আলোচনা সভার শুরুতেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে মালদ্বীপে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার  রিয়ার এডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় বঙ্গবন্ধুর অসামান্য অবদানের প্রথম আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হলো “জুলিও কুরি শান্তি পদক”, যা আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। এই পদক অর্জন বিশ্ব দরবারে বাঙালি জাতিকে গৌরবান্বিত করেছে।   তিনি বলেন নেলসন ম্যান্ডেলা, ফিডেল ক্যাস্ট্রো, জওহরলাল নেহেরু, গামাল আবদেল নাসের, পাবলো নেরুদা, মার্টিন লুথার কিং, ইয়াসির আরাফাত, লিওনিদ বেজনেভ প্রমুখ জুলিও কুরি পদক প্রাপ্ত বিশ্ববিশ্রুত নামের তালিকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নামের সংযোজন প্রমান করে বিশ্ববাসীর চোখে আমাদের জাতির পিতার সম্মান ও মর্যাদা কত উচ্চতায় অধিষ্ঠিত।

 

ফ্রেডেরিক জুলিও কুরি ১৯৪৯ সালে প্রতিষ্ঠিত বিশ্ব শান্তি পরিষদের (World Peace Council) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নিযুক্ত হন এবং তার নামেই পরবর্তীতে “জুলিও কুরি” পদকের প্রবর্তন করা হয়েছে।  হাইকমিশনার তার বক্তব্যে আরো বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিল সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা যেখানে থাকবে না ক্ষুধা ও দারিদ্র্য।  মহান স্বাধীনতা অর্জনের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধু বাংলার মানুষের জন্য শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছেন। পরবর্তীতে বিশ্বব্যাপী শান্তির স্বপক্ষে তিনি পূর্বাপর আপোসহীন থেকেছেন এবং দেশ-বিদেশে শান্তিকামী জনগণকে অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে গেছেন।  তিনি আরো বলেন, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে বৈরিতা নয়’ বঙ্গবন্ধুর এই নীতিবাক্যের উপর প্রতিষ্ঠিত হয়েছে  আমাদের পররাষ্ট্রনীতি।

 

বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যা  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে সোনার বাংলাদেশে রুপান্তরিত করতে নিরলস কাজ করে চলেছেন।প্রতিবেশীদের সঙ্গে শান্তিপূর্ণ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পাশাপাশি আঞ্চলিক ও বিশ্ব শান্তি স্থাপনে তাঁর অনন্য ভূমিকা ইতোমধ্যে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেছে।

 

তিনি ১৫ আগস্ট হত্যাকান্ডে নিহত বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান। এছাড়াও তিনি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার কাজে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখার আহ্বান জানান এবং এই উদ্দেশ্যে ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও বঙ্গবন্ধুর আদলে দেশের সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে সকলকে আহ্বান জানান।

 

সর্বশেষ খবর

এনবি ২৪ একটি বহুল পঠিত অনলাইন বাংলা সংবাদপত্র।

© ২০২৩ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত – এনবি ২৪

কোডিং এবং ডেভেলপমেন্ট – গ্রোউজ আইটি