বিশ্বশান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে কার্যকর ভূমিকা পালন করছে মিশর ও চীন। মিশরীয় পক্ষ এক-চীন নীতির প্রতি সংহতি জানিয়ে এর সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার লক্ষ্যে বেইজিংয়ের প্রচেষ্টাকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে। সেইসঙ্গে সন্ত্রাসবাদ ও ধর্মীয় চরমপন্থা মোকাবিলায় চীনের কর্মকাণ্ডকেও দৃঢ়ভাবে সমর্থন করে।
এর মধ্যে দিয়ে কায়রো ও বেইজিংয়ের পারস্পরিক আন্তর্জাতিক স্বার্থ সংহত হওয়ার পাশাপাশি বিশ্ব রাজনীতিতে চীনের সংক্রিয়তা আরও স্পষ্ট হচ্ছে। এতে বিশ্ব রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত একমেরুকেন্দ্রিক বিশ্বব্যবস্থা থেকে বহুমেরুকেন্দ্রিক ব্যবস্থা শুরু হচ্ছে। এ সব কিছুই মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদে চীন এবং মিশরের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে আরও সংহত করছে। যা তাদের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ককে শক্তিশালী করছে। চীন `বেল্ট অ্যান্ড রোড` উদ্যোগ বাস্তবায়নে চেষ্টা করছে এবং মিশর পূর্ব এশিয়ামুখী `লুক ইস্ট` নীতি বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। কায়রোর প্রাচ্যমূখী এই নীতি ভবিষ্যতের মিশরীয়-চীনা সম্পর্ককে আরও সুদৃঢ় করবে।
এই দুই দেশের যৌথ উদ্যোগ ইতোমধ্যে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা, টেকসই সবুজায়ন প্রকল্পসহ আন্তর্জাতিক ও অভিন্ন ইস্যুতে লক্ষ্য বাস্তবায়নে এগিয়ে যাচ্ছে। জঙ্গিদমনের সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যকে অস্ত্রমুক্ত করার উদ্যোগও নিয়েছেন দুই দেশের শীর্ষ নেতা আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসি ও শি জিনপিং। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে আল-সিসির বলিষ্ট পদক্ষেপের কারণে অনেকে তাকে তিন দশকের বেশি সময় মিশরের ক্ষমতায় থাকা সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারকের সঙ্গে তুলনা করছেন।
মধ্যপ্রাচ্য সঙ্কটের স্থায়ী সমাধানে ফিলিস্তিনিদের দীর্ঘ দিনের দাবি পূরণে এই দুই দেশের নেয়া পদক্ষেপেও রয়েছে মিল। ইসরায়েলে দখলকৃত অঞ্চল মুক্ত করার পাশাপাশি স্বাধীন স্বার্বভৌম দেশ হিসেবে ফিলিস্তিনির স্বীকৃতির বিষয়ে তাদের সহমত রয়েছে। নিবন্ধটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন।