, কুমিল্লা, প্রতিনিধি।।
বুড়িচং-কালিকাপুর সড়কের সদর এলাকা থেকে ৪ হাজার ২শ পিছ নেশা জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ সিয়াম নামে একজন কে গ্রেফতার করেছে বুড়িচং থানার পুলিশ। অপর দুই জন কৌশলে পালিয়ে যায় বলে জানায় থানা পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়,(১৫ অক্টোবর ২০২৩) রোববার দুপুরে সীমান্ত এলাকা থেকে দুই মোটরসাইকেলে কয়েকজন যুবক নেশা জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেট নিয়ে বুড়িচং বাজারে ঢুকছে এমন গোপান সংবাদে থানার এসআই মোঃ সোহরাব হোসেন, এএসআই মিঠুন ও সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এসময় দুইটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করার চেষ্টা চালায় পুলিশ। পুলিশের সংকেত অমান্য করে মোটরসাইকেলের গতি বাড়িয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টা করলে থানার সামনে সালাউদ্দিন ও কাউছারের মোটরসাইকেল আটক করে। অপর মোটরসাইকেল বুড়িচং-কালিকাপুর সড়কের যদুপুর মাদ্রাসার সামনে ৪ হাজার ২শ পিচ নেশা জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ সিয়াম নামের একজনকে আটক করে । এসময় পিছনে সিয়ামকে দেখিয়ে সালাউদ্দিন ও কাউছার পালিয়ে যায়। আটককৃত সিয়াম বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের পুলিশ সদস্য জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।পলাতক দু’জন মাদক কারবারি হলেন,একই উপজেলার বাকশীমূল গ্রামের আব্দুর রশিদের ছেলে সালাউদ্দিন এবং মোঃ ছাদেকের ছেলে বিজিবি’র চাকরিচ্যুত কাউছার। তাদেরকে গ্রেফতার জন্য চেষ্টা চলছে বলে জানান এসআই মোঃ সোহরাব হোসেন।
মাদকসহ গ্রেফতারকৃত সিয়ামের মা থানায় উপস্থিত থাকা সাংবাদিকদের জানান, আমার ছেলে এ কাজ করতেই পারে না। আমার ছেলে কে ফাঁসানো হয়েছে। আমার ছেলেকে বাড়ি থেকে সালাউদ্দিন ডেকে আনে। সে ডেকে এনে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়ে দিয়ে সে পালিয়ে গেছে।
বুড়িচং থানার এসআই সোহরাব হোসেন প্রতিনিধিকে বলেন,সিয়ামকে ৪ হাজর ২শ পিছ নেশা জাতীয় টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ আটক করি। আটক করার পর সিয়ামকে জিজ্ঞাসাবাদে বলে এই টাপেন্টাডল ট্যাবলেট সালাউদ্দিন ও কাউছারের। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসানাত খন্দকার বলেন,একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আসামি ছাড়ার বিষয়টি সম্পূর্ন মিথ্যা। গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।এসময় তিনি প্রতিনিধিকে বলেন মাদকের সাথে আমাদের কোন আপোষ নাই,জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।
গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির।