দুবাইয়ের উদ্দেশ্যে উড্ডয়নের আগে এয়ার কানাডার একটি বিমানের কেবিনের দরজা খুলে লাফ দিয়েছেন এক যাত্রী। এ ঘটনায় ২০ ফুটে নিচে পড়ে বেশ আঘাত পান তিনি।
সোমবার (৮ জানুয়ারি) কানাডার টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে একটি বোয়িং ৭৭৭ বিমানে এই ঘটনা ঘটে।
বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ডাব্লিউআইওএন।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্লাইট এসি০৫৬-এর ওই যাত্রী স্বাভাবিকভাবেই বিমানে উঠেন। কিন্তু পরে সিটে বসার পরিবর্তে কেবিনের দরজা খুলে লাফ দেন তিনি। যার ফলে প্রায় ২০ ফুট থেকে রানওয়ের পিচের ওপরে পড়ে আহত হন। এই ঘটনার পর দ্রুতই ঘটনাস্থলে আঞ্চলিক পুলিশ এবং অন্যান্য জরুরি পরিষেবাগুলো আসে।
এয়ার কানাডার একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, এই ঘটনা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। ওই যাত্রী কেন লাফ দিলেন বা কতটা আহত হয়েছেন, সে সম্পর্কে কিছু জানাননি তিনি। ফ্লাইটরাডার ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় টরন্টো থেকে দুবাই যাওয়ার ফ্লাইটটি প্রায় ছয় ঘণ্টা দেরিতে ছেড়েছিল।
উল্লেখ্য, এক সপ্তাহের ব্যবধানে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার যাত্রীর অস্বাভাবিক আচরণে এয়ার কানাডার ফ্লাইট বিলম্বিত হওয়ার ঘটনা ঘটলো। এর আগে গত ৩ জানুয়ারি এয়ার কানাডার বিমানে একটি পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালায় ১৬ বছর বয়সী এক যাত্রী। অস্বাভাবিক পরিস্থিতির ফলে ওই বিমান তিন ঘণ্টা দেরিতে উড্ডয়ন হয়। আর সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের এয়ার কানাডার বিমান থেকে লাফ দিলেন এক যাত্রী।
এয়ার কানাডার মুখপাত্র বলেছেন, ‘আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, আমাদের সমস্ত অনুমোদিত বোর্ডিং এবং কেবিন অপারেটিং পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়েছে। আমরা ঘটনার পর্যালোচনা চালিয়ে যাচ্ছি।’