বিশ্বকাপ বাছাইয়ের প্লে-অফের প্রথম লেগে মালদ্বীপের সঙ্গে ড্র করেছে বাংলাদেশ। আজ (বৃহস্পতিবার) মালদ্বীপের মালেতে অনুষ্ঠিত অ্যাওয়ে ম্যাচে বাংলাদেশ ১-১ সমতা নিয়ে মাঠ ছেড়েছে। ঘরের মাঠে বাংলাদেশ তাদের বিপক্ষে ফিরতি লেগ খেলবে ১৭ অক্টোবর। অ্যাওয়ে ম্যাচের এই গোলটি বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
প্রথম লেগের ম্যাচটিতে বাংলাদেশ হারের দ্বারপ্রান্তেই ছিল। নির্ধারিত সময় শেষে ১-০ গোলে পিছিয়ে ছিলেন জামাল ভূঁইয়ারা। এরপর চতুর্থ রেফারি ৫ মিনিট ইনজুরি সময় দেন। যার দ্বিতীয় মিনিটেই ম্যাচে সমতা আনে বাংলাদেশ। বাম প্রান্ত থেকে রাকিব হোসেনের বাড়ানো বলটিকে সাদ উদ্দিন প্লেসিংয়ে জালে জড়ান। বাংলাদেশকে মহাগুরুত্বপূর্ণ একটি পয়েন্ট এনে দেওয়ার আনন্দে জার্সি খুলে উল্লাস করেন তিনি। যদিও এজন্য তাকে হলুদ কার্ড দেখতে হয়েছে।
এর আগে ৮৬ মিনিটে ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। সেটিও নিজেদের ভুলে। মালদ্বীপের ফরোয়ার্ডের করা এক ক্রসে তারিক কাজী লাফিয়ে হেড দেন। সেই হেড ক্লিয়ার না হয়ে সতীর্থ ডিফেন্ডার গায়ে লেগে মালদ্বীপের আরেক ফরোয়ার্ড হাসান নাজিমের পায়ে পড়ে। গোলরক্ষক মিতুল মারমা এগিয়ে আসলেও নাজিম প্লেসিংয়ে বলটি জালে ঠেলে দেন।
মালদ্বীপ ম্যাচের ব্যবধান দ্বিগুণ করার সুযোগও পেয়েছিল এক মিনিট পরেই। এটিও আগের গোলের মতোই বাড়ানো বল ছিল। তবে এই যাত্রায় অভিজ্ঞ ফুটবলার আলী ফাসির একপাশে ফাঁকা পোস্টেও বল সঠিক গন্তব্যে রাখতে পারেননি। সেই ভুলের খেসারতই দিতে হয়েছে কিছুক্ষণ পর গোল হজম করে।
দুই দলই আজ অসংখ্য গোলের সুযোগ মিস করেছে। প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধেও চলেছে গোল মিসের মহড়া। রাকিব ও ফাহিম উভয়ই অসংখ্য সুযোগ হাতছাড়া করেছেন। দ্বিতীয়ার্ধে ফাঁকা পোস্টের সামনে বল পেয়েও ফাহিম প্লেসিং করতে পারেননি। বল পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। মালদ্বীপও এমন সহজ সুযোগ মিস করেছে। বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা কয়েকবার পরাস্ত হলেও কখনও তারা গোলরক্ষক মিতুল মারমায় পরাস্ত হয়েছেন, আবার কখনও শটই নিতে পারেননি মালদ্বীপ ফরোয়ার্ডরা। দুই দলের অসংখ্য মিসে গোলশূন্য ড্রয়ের পথে ম্যাচ হাঁটলেও শেষ দশ মিনিটে অবশ্য উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।