তীব্র গরমে বুড়িচংয়ে সীমাহীন লোডশেডিংয়ে ভোগান্তির যেন শেষ নেই

বুড়িচং উপজেলা বাকশিমুল ইউনিয়ন কালিকাপুর গ্রামের মানুষের লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি যেন লাগামহীন। গেল দুইদিন ধরে দিনে ১০-১২ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎহীন থাকতে হচ্ছে এই কুমিল্লা জেলার গ্রামাঞ্চলের বাসিন্দাদের। তারা বলছেন,তাদের এলাকায় বিদ্যুৎ যায় না,বরং মাঝে মধ্যে আসে।

 

কুমিল্লা বুড়িচং সহ বিভিন্ন জেলা উপজেলায় লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে জনজীবন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টাই থাকছে না বিদ্যুৎ। তীব্র গরমের মধ্যে দিন-রাতের বেশিরভাগ সময় বিদ্যুৎহীন থাকায় এ ভোগান্তি। বিদ্যুত বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, চাহিদার চেয়ে কম বিদ্যুৎ পাওয়ায় এ অবস্থা।

 

বুড়িচং উপজেলায় কালিকাপুর গ্রামের ইমন জানান, শনিবার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ ছিল না। পরে কিছুক্ষণ বিদ্যুৎ পেলেও রাত আড়াইটা থেকে আবার ভোর ৪টা পর্যন্ত বিদ্যুৎহীন ছিলেন তারা।

একেই গ্রামের পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সাইদুর রহমান মিন্টু বলেন, লোডশেডিংয়ে আমাদের গ্রামের লোকজন অসহ্য হয়ে উঠেছেন। শহরে তো তাও আমাদের থেকে ভালো। আমাদের এখানে টানা ৩-৪ ঘণ্টাই লোডশেডিং চলে।

বাকশিমুল গ্রামের নানু দাস বলেন, গত শনিবার সারাদিন বিদ্যুৎ ছিল না। বিকেল ৫টায় বিদ্যুৎ এলেও এক ঘণ্টা থাকার পর আবার দুই ঘণ্টা ছিল না। সারাদিন বিদ্যুৎ না থাকার পরেও লোডশেডিং কেন করছে প্রশ্ন রাখেন তিনি।

 

পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে ক্ষুব্ধ গ্রাহকরা বলেন, ৭-৮ দিন ধরে প্রচণ্ড গরমের পাশাপাশি ব্যাপকভাবে লোডশেডিং হচ্ছে। দিনে ৫ ঘণ্টাও বিদ্যুৎ পাওয়া যাচ্ছে না। এমন লোডশেডিং আগে কখনও দেখিনি। বিশেষ করে রাতে ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে ছাত্র/ছাত্রীদের লেখাপড়ায় মারাত্মক বিঘ্ন ঘটছে। পাশাপাশি শিশু ও বৃদ্ধরা বেশি ভোগান্তিতে আছেন। শুধু লোডশেডিং না, ভুতুড়ে বিদ্যুৎ বিলেও অতিষ্ঠ হয়ে গেছি।

 

এএনবি২৪ডটনেট/কালাম