চট্টগ্রামকে ভারতের অংশ করার মাস্টারপ্ল্যান প্রকাশ করে ভারতের ‘রিপাবলিক টিভি’র বাংলাদেশ বিরোধী উসকানিমূলক প্রতিবেদনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট।
২০ নভেম্বর, বুধবার এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ বলেন, বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বিভাগকে ভারতের অংশ করতে ভারতীয় রিপাবলিক টিভিতে প্রচারিত তথাকথিত অপসাংবাদিক ময়ূখ রঞ্জন ঘোষের আট মিনিটের প্রতিবেদনটি মূলত আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে উপর নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল। উক্ত প্রতিবেদনে তথাকথিত সাংবাদিক ষড়যন্ত্রমূলকভাবে ভয়াবহ মিথ্যাচারে ভরা উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপতথ্য প্রচার করেছে। যেখানে দাবি করা হয়েছে- বাংলাদেশ থেকে স্বাধীনতা চাইছে চট্টগ্রাম বিভাগ এবং গ্রাফিকাল উপস্থাপনায় চট্টগ্রাম ভারতের অংশ হলে তাদের লাভ কী কী হবে, তাও দেখানো হয়। এমনকি চট্টগ্রামের বাসিন্দা ৯৯% মানুষ নাকি হিন্দু, যাদেরকে নাকি ১৯৪৭ ইংরেজি থেকে নির্যাতন করে দেশ ছাড়া করা হয়েছে। এভাবে তথ্য ও উপাত্তহীন মনগড়া প্রতিবেদনটি সুকৌশলে ধর্মীয় বিদ্বেষও ছড়ানো হয়েছে। অথচ, ঐতিহাসিকদের মতে, হিজরি প্রথম শতকেই মালাবার হয়ে চট্টগ্রামে ইসলাম ধর্ম আসে। মুঘল সুবেদার শায়েস্তা খাঁ’র আমলে চট্টগ্রামের নাম ছিল ইসলামাবাদ। ইসলামী ঐতিহ্যমণ্ডিত চট্টগ্রামই বাংলাদেশে ইসলামের প্রবেশদ্বার বটে। তাই বাংলাদেশের মানুষ মনে করেন, উক্ত প্রতিবেদন প্রচার করে মূলত ভারতের রিপাবলিক টিভি বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের মাস্টারপ্ল্যান প্রকাশ করেছে। এধরণের অপতথ্য ছড়ানোর বিরুদ্ধে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা সহ সংশ্লিষ্টদের কার্যকর পদক্ষেপ এখনও দৃশ্যমান না হওয়াটা দুঃখজনক।
অধ্যক্ষ স.উ.ম আবদুস সামাদ আরো বলেন, পতিত কর্তৃত্ববাদী সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি থেকে অন্তবর্তী সরকারকে বের হয়ে আসতে হবে, তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাতে হবে ভারতকে। বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্ট দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে আপোষহীন। তিনি দল-মত নির্বেশেষে দেশের স্বার্থে সবকিছুর উর্ধ্বে থেকে ঐক্যমতের ভিত্তিতে দেশ গড়ার জন্যও সবার প্রতি আহ্বান জানান।