কুমিল্লা প্রতিনিধি।
আওয়ামী লীগ মনোনীত কুমিল্লা -৫ (বুড়িচং – ব্রাহ্মণপাড়া ) আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট আবুল হাসেম খান এমপি আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর কারণে চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন বলে মনে করছেন সাধারণ ভোটাররা।
এ আসনের বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বেশ কয়েকজন ভোটারের সঙ্গে কথা বলে এমন আভাস পাওয়া গেছে। নৌকা প্রতীকের আওয়ামী লীগের প্রার্থী এডভোকেট আবুল হাসেম খান (এ আসনের সাবেক এমপি ও আইনমন্ত্রী আবদুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে শূন্য আসনে উপনির্বাচনে ) তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের দুই স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন – কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন (ফুলকপি) এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আবু জাহের (কেটলি)প্রতীক।
সাধারণ ভোটারের একটা অংশ মনে করেন, চলতি মেয়াদে বর্তমান সংসদ সদস্য এডভোকেট আবুল হাসেম খান যেভাবে অনায়াসে বিজয়ী হলেছিলেন(বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ) এবার তা অনেকটা কঠিন হবে। কেননা এ আসনে এবার আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট দুই প্রার্থী সাজ্জাদ হোসেন এবং আবু জাহের। একজন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। অপরজন উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক। তারা উভয়ের তৃণমূল পর্যায়ে আ’লীগ নেতাকর্মীদের সুসংগঠিত করেছেন। বলতে গেলে দুই উপজেলায় আওয়ামী লীগের ভীত শক্তিশালী করেছেন ।
অপর আরেক প্রার্থী ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী গত ২৪ তারিখ নৌকা মার্কাকে সমর্থন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। যার ফলে নৌকা একটু এমুহুর্তে এগিয়ে আছেন বলে অনেকে মন্তব্য করেন। এ আসনে আরেক হেভিওয়েট বিএনপি ঘরানার প্রার্থী জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক শওকত মাহমুদ ঈগল প্রতীকে লড়ছেন।
সব মিলিয়ে নৌকা, কেটলি, ফুলকপি এবং ঈগলের কর্মী, সমর্থক ও অনুসারীদের নিয়ে বিজয়ী হওয়ার জন্য ভোটের মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন সবাই।
বুড়িচং উপজেলার সাধারণ ভোটার সামসুল আলম, কৃষক এনামুল হক,ব্যবসায়ী রাসেল আহমেদ, এক গৃহিণী এবং সিএনজি চালক জহির বলেন, আমরা দ্বিধা দ্বন্দ্বে আছি। কাকে ভোট দেব,কার পক্ষে ভোট চাইব? নৌকা আওয়ামী লীগের মার্কা, ফুলকপি এবং কেটলি ও আওয়ামী লীগের লোক। যে কারণে এবার এ আসনের ভোটাররা আসলে কাকে ভোট দেবেন তা নিয়ে চিন্তিত। অপরদিকে বিএনপির মত একটি বড় দল নির্বাচনে না আসায় অনেকেই ভোট নিয়ে সংশয় ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।