এটি চট্টগ্রাম বিভাগ এর অন্তর্গত কুমিল্লা। এর উত্তরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া, দক্ষিণে নোয়াখালী ও ফেনী, পূর্বে ভারতের ত্রিপুরা এবং পশ্চিমে মুন্সীগঞ্জ, চাঁদপুর জেলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলা। এই জেলাটির আয়তনঃ ৩০৮৭.৩৩ বর্গ কিলোমিটার। ভারতের সাথে এই জেলার ১০৬ কিলোমিটার সীমান্ত রয়েছে।
ভারত সীমান্তবর্তী জেলা হওয়ায় দেশে মাদক প্রবেশের একটি প্রধান ট্রানজিট পয়েন্ট এ জেলাটি। সম্প্রতি সীমান্তবর্তী এলাকা ও মাদকের আখড়া হিসেবে চিহ্নিত এলাকা গুলোতে ফের সক্রিয় হচ্ছে মাদক কারবারিরা। প্রতিদিনই সীমান্তের বিভিন্ন অরক্ষিত এলাকা দিয়ে দেদারছে প্রবেশ করছে ভারতীয় ইয়াবা, গাজা, মদ, ফেন্সিডিল, বিয়ার, স্কার্ফ সহ নানা জাতের মাদক। একসময় শুধু মিয়ানমার থেকে ইয়াবা এলেও এখন চোরাই পথে কুমিল্লা সীমান্ত দিয়ে আসছে ইয়াবা ভারত থেকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সীমান্তের মাদক কারিবারিদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভারতের ভেতরে বাংলাদেশ সীমান্ত সংলগ্ন এলাকা গড়ে উঠেছে একাধিক ইয়াবার কারখানা। মানের দিক থেকে কিছুটা খারাপ হলেও দামে কম ও পাচারে সুবিধা থাকায় ভারতীয় ইয়বাই এখন দেশের এক তৃতীয়াংশ মাদসেবীরা সেবন করছে।সম্প্রতি জেলার সীমান্ত এলাকা সহ বিভিন্ন থানা এলাকা ও মহাসড়কে বড় বড় বেশকিছু মাদকের চালান আটক হওয়ায় আবার আলোচনায় মাদক এসেছে প্রসঙ্গ।দেশব্যাপী জোড়ালো মাদক বিরোধী অভিযানের সময় ঘা ঢাকা দিয়ে পালিয়ে থাকা শীর্ষ মাদক কারবারীরা ফিরে আসতে শুরু করেছে এলাকায়। ব্যাপক ধরপাকড়ে আটক মদক ব্যবসায়ীদের অনেকেই জামিনে মুক্ত হয়ে আবারো যুক্ত হচ্ছে মাদক কারবারে।
কুমিল্লা বিবির বাজার,বড়জলা,গোলাবাড়ি,হয়ে আখাউড়া পর্যন্ত
সীমান্তবর্তী এলাকাজুড়ে বেড়েছে মাদক ব্যাবসায়ীদের উৎপাত।প্রশাসনের কার্যক্রম তেমনটা না থাকায় ব্যাবসায়ীদের উৎপাত বেড়েছে বলে মনে করেন স্থানীয়ওরা।সম্প্রতি নানা ঘটনা দুর্ঘটনা এবং আলোচনা সমালোচনা ও সময়ের পরিক্রমায় ক্রমেই কিছুটা শিথিলতা পরিলক্ষিত হয় মাদক বিরোধী জোড়ালো অভিযানের। তবে প্রশাসন জানায় মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান এটি একটি চলোমান প্রক্রিয়া।
অভিযান অব্যাহত আছে এবং প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। বিপুল পরিমান মাদক সহ আটক ও হচ্ছে অনেকেই। বিগত দিনে অভিযানের সময় সীমান্তবর্তী এ জেলাটিতে পরিস্থিতির যে খুব একটা পরিবর্তন হয়ছে তা নয় । তবে মাদকের আগ্রাসন কমে এসেছিলো আশানুরূপ ভাবেই। বিভিন্ন এলাকায় জনসাধারণ ও সোচ্চার হয়েছিলো মাদকের বিরুদ্ধে। অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে চলে আসে মাদকের আগ্রাসন। এদিকে মাদকপ্রবণ এলাকাগুলোতে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, অভিযানের কিছুটা শিথিলতার সুযোগে জোড়ালো মাদক বিরোধী অভিযানে পালিয়ে আত্মগোপনে থাকা জেলার তালিকাভূক্ত শীর্ষ মাদক কারবারি ও ভারতে সীমান্তের মাদক ব্যাবসায়ীরা পুনরায় ফিরে এসেছে এলাকায়। মোঃ শাহজাহান বাশার দৈনিক আওয়ার বাংলাদেশ পত্রিকার,ও এএনবি২৪ ডট নেট নিউজ এর প্রতিনিধি।