গাজায় ইসরায়েলের যুদ্ধ গণহত্যার শামিল কিনা তা নিয়ে জাতিসংঘের শীর্ষ আদালতে একটি আইনি লড়াই শুরু হতে যাচ্ছে, যেখানে দক্ষিণ আফ্রিকার বিচারকদের ইসরায়েলের সামরিক আগ্রাসন অবিলম্বে স্থগিত করার আদেশ দেওয়ার আহ্বানের প্রাথমিক শুনানি হতে চলেছে।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় গণহত্যার অভিযোগে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আফ্রিকার দায়ের করা মামলায় শুনানি শুরু করেছে জাতিসংঘের আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)।
স্থানীয় সময় বুধবার সকালে (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার ভোর) থেকে নেদারল্যান্ডসের হেগ শহরে অবস্থিত জাতিসংঘের ওই আদালতে শুনানি শুরু হয়।মামলায় আত্মপক্ষ সমর্থনের জন্য ইসরায়েলের প্রস্তুতির কাজ প্রায় শেষ এবং আগামীকালের শুনানিতে মধ্যপ্রাচ্যের ইহুদিশাসিত এই ভূখণ্ডটির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন বলে সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন ইসরায়েলি সরকারের অন্যতম মুখপাত্র ইলন লেভি।
ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ তুলে গত ২৯ ডিসেম্বর বিশ্ব আদালতে মামলাটি দায়ের করে দক্ষিণ আফ্রিকা।
মামলার আবেদনপত্রের সঙ্গে ৮৪ পৃষ্ঠার একটি নথি সংযুক্ত করে দক্ষিণ আফ্রিকা দাবি করে, গাজায় অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং যুদ্ধাপরাধের পাশাপাশি গণহত্যা এবং এ সম্পর্কিত অপরাধে সংশ্লিষ্টতারও প্রমাণ রয়েছে।
জাতিসংঘের ১৯৪৮ সালের গণহত্যা কনভেনশনকে ভিত্তি করে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে— উল্লেখ করে আবেদনে আরও বলা হয়, ফিলিস্তিনি জাতির একটি উল্লেখযোগ্য অংশকে ধ্বংস করার উদ্দেশ্য নিয়েই গাজা উপত্যকায় অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী।
উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবর গাজায় নির্বিচারে হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। গত তিন মাসের অভিযানে কার্যত ধ্বংস্তূপে পরিণত হয়েছে গাজা উপত্যকা। ইতোমধ্যে সেখানে নিহতের সংখ্যা ২৩ হাজার ছাড়িয়ে গেছে। এর মধ্যে ৭০ শতাংশই নারী-শিশু। আহত ছাড়িয়েছে ৬০ হাজার। এছাড়া এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ৬ হাজার ফিলিস্তিনি।
সূত্র: আল জাজিরা, রয়টার্স