ইসরায়েল ও হামাস ইস্যু কেন্দ্র করে ইরানের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াতে চায় না যুক্তরাষ্ট্র। এমন কথাই জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। অবশ্য সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হলে যুক্তরাষ্ট্র নিজেকে রক্ষা করবে বলেও জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। বুধবার (২৫ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।
প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না বলে মঙ্গলবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেন। তবে তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ইরান বা তার প্রক্সিরা যেকোনো জায়গায় মার্কিন সেনাদের ওপর আক্রমণ করলে ওয়াশিংটন দ্রুত কঠোর পদক্ষেপ নেবে।
অ্যান্টনি ব্লিংকেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সঙ্গে সংঘাত চায় না। আমরা চাই না যে এই যুদ্ধ (হামাস-ইসরায়েল) আরও বিস্তৃত হোক। কিন্তু ইরান বা তার প্রক্সিরা যদি কোথাও মার্কিন সেনাদের ওপর হামলা করে, তাহলে আমরা আমাদের জনগণকে রক্ষা করব, আমরা আমাদের নিরাপত্তা দ্রুত এবং কঠোরভাবে রক্ষা করব।
ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের সঙ্গে ইসরায়েলের সংঘাত ১৯ দিনে গড়িয়েছে। চলমান সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে এবং ইরান ও তার মিত্ররা এই সংঘাতে যোগ দিতে পারে, এমন আশঙ্কার মধ্যে ব্লিংকেন এই মন্তব্য করলেন।
ইসরায়েলের বিরুদ্ধে অন্য কোনো ফ্রন্টে সংঘাত শুরুর কথা বিবেচনা করছে এমন দেশ বা গোষ্ঠীগুলোকে হুঁশিয়ারি করে মঙ্গলবার এক বার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিংকেন বলেছেন, আগুনে জ্বালানি নিক্ষেপ করবেন না।
অন্যদিকে জাতিসংঘে নিযুক্ত ইরানের রাষ্ট্রদূত আমির সাইদ ইরাভানি পরে নিরাপত্তা পরিষদে বলেন, ব্লিংকেন ইসরায়েল-হামাস সংঘর্ষের জন্য ইরানকে ভুলভাবে দোষারোপ করার চেষ্টা করেছেন এবং তেহরান স্পষ্টভাবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এই ‘ভিত্তিহীন অভিযোগ’ প্রত্যাখ্যান করছে।
তিনি বলেন, ‘আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট রয়েছে। নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের ওপর আগ্রাসন পরিচালনাকারী বাহিনীর সঙ্গে প্রকাশ্যে নিজেকে দাঁড় করিয়ে চলমান সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে জর্ডানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আয়মান সাফাদি জাতিসংঘে সাংবাদিকদের বলেছেন, চলমান সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার যে হুমকি রয়েছে সেটি ‘প্রকৃত অর্থেই বিপদ’। তিনি বলেন, আমরা সবাই এটা এড়ানোর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।