অস্ট্রেলিয়ার সংবিধানে দেশটির আদিবাসীদের স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য হাজার হাজার মানুষ সমাবেশ করেছে,
ইয়েস২৩, “ওয়াক ফর ইয়েস” ইভেন্টের , অস্ট্রেলিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম শহর ব্রিসবেনে রবিবার প্রায় ২০ লোক অংশ নিয়েছিল, সিডনি, মেলবোর্ন, পার্থ, হোবার্ট, ক্যানবেরা, ডারউইন এবং নিউক্যাসেলে সমাবেশের জন্য নির্ধারিত ছিল।
অস্ট্রেলিয়ান ব্রডকাস্টিং কর্পোরেশন (এবিসি) ফুটেজে দেখা গেছে, অনেক অংশগ্রহণকারীরা টি-শার্ট পরেছিল এবং “হ্যাঁ ভোট দাও!” লেখা প্ল্যাকার্ড ছিল।
আগামী ১৪ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় আদিবাসী গণভোটের কার্যক্রম শুরু হবে। এই ভোট আদিবাসী এবং টরেস স্ট্রেইট দ্বীপবাসীদের দেশটির সংবিধানে স্বীকৃতি দেবে এবং তাদের আইন সংক্রান্ত পরামর্শ দেওয়ার জন্য একটি স্থায়ী সংস্থা প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে।
এটি সফল করার জন্য, অস্ট্রেলিয়ার বেশিরভাগ নাগরিকদের ‘হ্যাঁ’ ভোট দিতে হবে। এছাড়াও দেশটির ছয়টি রাজ্যের মধ্যে অন্তত চারটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থন থাকতে হবে। এই গণভোটের বিষয়ে অস্ট্রেলিয়ায় তীব্র বিতর্ক ছিল। দেশটিতে প্রায় ৫০ বছরে কোন সফল গণভোট অনুষ্ঠিত হয়নি।
অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ একটি সমাবেশে ভোটের তারিখ ঘোষণা করে বলেন, এই ভোট আমাদের দেশকে একত্রিত এবং আরও সফল করার একটি বড় সুযোগ। ভয়েস টু পার্লামেন্ট হবে আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানদের একটি কমিটি যা তাদের দ্বারাই নির্বাচিত।
আদিবাসী অস্ট্রেলিয়ানরা সমাজে দীর্ঘদিন ধরে অসামঞ্জস্যপূর্ণতা এবং প্রতিকূলতার সম্মুখীন হচ্ছে, তাই ২০১৭ সালে এই গণভোটের বিষয়ে ‘উলুরু স্টেটমেন্ট ফ্রম দ্য হার্ট’ নামক একটি প্রস্তাবের মাধ্যমে সুপারিশ করা হয়। প্রস্তাবটি ২৫০টিরও বেশি আদিবাসী নেতাদের দ্বারা খসড়া করা হয়।
অস্ট্রেলিয়াই একমাত্র কমনওয়েলথভুক্ত দেশ যা তাদের আদিবাসীদের সাথে কোনো চুক্তিতে স্বাক্ষর করেনি। তাই আইনজীবীরা বলছেন, ‘ভয়েস টু পার্লামেন্ট’ পুনর্মিলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।