Maldives is a travel paradise for the fulfillment of desires,ইচ্ছাপূরণের অন্যরকমের একটি ভ্রমণ স্বর্গ মালদ্বীপ

About Maldives

ইচ্ছাপূরণের অন্যরকমের একটি ভ্রমণ স্বর্গ মালদ্বীপ Maldives is a travel paradise for the fulfillment of desires

The Maldives, a tropical paradise of pristine beaches, is an archipelago of 1,192 coral islands grouped into 26 coral atolls (200 inhabited islands, plus 80 islands with tourist resorts) in the Indian Ocean. They lie south-southwest of India and are considered part of Southern Asia. 

এশিয়ার সবচেয়ে ছোট এবং দুনিয়ার সবচেয়ে নিচু দেশ মালদ্বীপ। দেশটিতে প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করতে আসে। যেখানে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর ঢেউয়ের তালে তালে জ্বলজ্বলে করতে থাকে দেশটির বালুময় সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের পানি থেকে বিচ্ছুরিত হয় অদ্ভুত আলো। সে এক অসাধারণ দৃশ্য যা দেখে চোখ বিস্ময়ে আটকে থাকে

/(Photo: Supplied)

Tourism in Maldives

Tourism is the largest economic industry in the Maldives. A tourist resort in the Maldives consists of an exclusive hotel on its own island, with its population entirely based on tourists and work force, with no local people or houses. These islands developed for tourism are approximately 800 by 200 meters in size and are composed of sand and coral to a maximum height of about 2 meters above the sea. In addition to its beach encircling the island, each island has its own “house reef” which serves as a coral garden and natural aquarium for scuba divers and snorkelers. The shallow water enclosed by the house reef also serves as a large natural swimming pool and protects swimmers from the ocean waves and strong tidal currents outside the house reef. 

‘মালদ্বীপ’ নামের মধ্যেই কেমন যেন একটা তীব্র আকর্ষণ, মোহন মায়া রয়েছে। সেই সঙ্গে ‘মালে’ শব্দটিও ভীষণভাবে আমাকে টানে। মালদ্বীপ আর মালের প্রতি গভীর টান, অনুভবের অন্য অনেক কারণ ছাপিয়ে বড় হয়ে ওঠে যে বিষাদ নিয়ন্ত্রণ করে, তারই মাঝে খুঁজে ফিরি অস্তিত্বের পরিচয়। অনুধাবন করি মালদ্বীপের একেকটা দ্বীপ যেন স্বাধীন রাজ্য। ‘পদ্মা নদীর মাঝি’র হোসেন মিয়ার ‘ময়না দ্বীপ’ হয়ে ওঠে, দেখা মেলে মালদ্বীপে। প্রায় শতভাগ মুসলিমের দেশ মালদ্বীপে পবিত্র রমজানের দিনে বিভিন্ন ধর্মের-বর্ণের মানুষের নির্বিশেষে যে যার কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখেছি। হিজাব পরিচিতি রোজাদার মুসলিম নারীকে দেখেছি কাজ করছেন সমুদ্রজলের ইউরোপীয় বিকিনি পরিহিতা নারীর সেবাদানে। সন্ধ্যায় তীরে বসে মুসলিমরা ইফতারি করছেন, পাশেই জলকেলিতে ব্যস্ত স্বল্পবসনার নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতীরা। কারও সঙ্গে কারও কোনো বিবাদ কিংবা অহেতুক ধর্মীয় উপদেশ দানের উত্তেজনা, মাতম দেখিনি। বিপরীতমুখী চরিত্রের এই সম্প্রীতির সম্পর্কের সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়েছি। ক্ষণে ক্ষণে রূপ বদলানো নীলজলের দ্বীপবাসীদের মাঝে ধর্মনিরপেক্ষতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি, পারস্পরিক সৌহার্দ্যরে অনন্য ও অনুকরণীয় অপরূপ চিত্র প্রতিনিয়ত দেখে দেখে প্রীত হয়েছি। সেই সঙ্গে ভালো লেগেছে দোকানে দোকানে বিক্রির জন্য রাখা পণ্যগুলো রাতের বেলাতেও বাইরেই ঝুলিয়ে রাখতে দেখে। দোকানি বাঙালি ভাইদের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি- নিরাপদ বলেই এমনটা করেন তারা। জিনিসপত্র চুরির সম্ভাবনা কম।

প্রতারণার চেয়ে ব্যবসাতেই লাভ বেশি। মালদ্বীপের অর্থনীতি দাঁড়িয়ে আছে পর্যটনশিল্পে। তাই এত গুরুত্ব দিয়ে পর্যটকদের দেখা হয় নিরাপত্তাসহ যাবতীয় অনুষঙ্গকে। ফলে সকলের মনোযোগ সেদিকেই। ব্যবসা-বাণিজ্য করেই যদি অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়া যায় তাহলে কে আর অসৎ পথে পা বাড়ায়? বঙ্কিম অগ্রজ সঞ্জীবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ‘পালামৌ’তে লিখেছিলেন, ‘প্রবাসে বাঙালি মাত্রেই সজ্জন’ প্রবলভাবে প্রমাণ মেলে মালদ্বীপে। তেমনি মনে হয়েছে পর্যটনশিল্পের সঙ্গে প্রকৃত জড়িতদের ব্যবস্থাপনাশাস্ত্র সঠিকভাবে শিখতে মালদ্বীপে শিক্ষা সফর জরুরি। ভ্রমণকালে সর্বত্রই সবচেয়ে ভালো লেগেছে পদসোপন ক্রম মেনে সবাইকে যে যার দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত, সদা সচেষ্ট থাকতে দেখে। প্রকৃতি ও মানুষের মেলবন্ধনে, সহবাসে স্বপ্নের সিদ্ধিলাভ ঘটে, কল্পনাবিলাস বাস্তবের মাটিতে পা রাখে মালদ্বীপ ভ্রমণ। সুন্দরের আসল সংজ্ঞা খুঁজতে আত্মোপলব্ধির মধ্যে প্রবাহিত অভিঘাত চেতনায় মাঝে মাঝে স্বপ্নভঙ্গও ঘটে যেন।

(Photo: Supplied)

What to do in Maldives

The Maldives is renowned for its incredible diving opportunities. The crystal clear water and shallow lagoons are perfect for snorkeling, while the reef walls offer a kaleidoscope of sea life for more experienced divers. The Maldives have an amazing diversity of sea life, with corals and over 2000 species of fish, ranging from reef fish and reef sharks to moray eels, rays and whale sharks. The island’s many sheltered lagoons also provide the perfect destination to enjoy an adventure-filled family holiday or romantic getaway for two.

মালদ্বীপ তার অবিশ্বাস্য ডাইভিং সুযোগের জন্য বিখ্যাত। স্ফটিক পরিষ্কার জল এবং অগভীর লেগুনগুলি স্নোর্কেলিং এর জন্য নিখুঁত, যখন প্রাচীরের দেয়ালগুলি আরও অভিজ্ঞ ডুবুরিদের জন্য সমুদ্রের জীবনের ক্যালিডোস্কোপ সরবরাহ করে। মালদ্বীপে প্রবাল এবং 2000 টিরও বেশি প্রজাতির মাছসহ সামুদ্রিক জীবনের একটি আশ্চর্যজনক বৈচিত্র্য রয়েছে, যার মধ্যে রিফ ফিশ এবং রিফ হাঙ্গর থেকে শুরু করে মোরাই ইল, রশ্মি এবং তিমি হাঙ্গর রয়েছে। দ্বীপের অনেক গুলি আশ্রয়প্রাপ্ত লেগুনগুলি দু’জনের জন্য অ্যাডভেঞ্চার-পূর্ণ পারিবারিক ছুটি বা রোমান্টিক ভ্রমণ উপভোগ করার জন্য নিখুঁত গন্তব্য সরবরাহ করে।

ইচ্ছাপূরণের অন্যরকমের একটি ভ্রমণ স্বর্গ মালদ্বীপ। পৃথিবীর ক্ষুদ্রতম দেশগুলোর মধ্যে দশম স্থানে রয়েছে ভারত মহাসাগরে অবস্থিত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ মালদ্বীপ। পৃথিবীর অন্যতম সৌন্দর্যম-িত দেশ দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপ। শান্ত ও মনোরম পরিবেশ, পুরাতন এই সমুদ্র  সৈকত মালদ্বীপের প্রধান আকর্ষণ। যেখানে পানির রং নীল আর বালির রং সাদা। তীর ঘেঁষে গড়ে ওঠা মালদ্বীপের সবগুলো দ্বীপের চারদিকে ঘিরে আছে সাগরের অফুরন্ত জলরাশি। মালদ্বীপের বালুকণা স্থানীয়দের হাসির মতোই শুভ্র। সেখানে ভারত মহাসাগরের উষ্ণ জলে মাছ খুশিতে সাঁতার কাটে। সেখানে আবহাওয়া একটি স্বপ্ন এবং সূর্যের গভীর রশ্মিগুলো আলোয় ভরিয়ে দিতে অপেক্ষা করে। প্রাচীনকালে মালদ্বীপের তীরগুলো সাগরে হারিয়ে যাওয়া যাত্রীদের স্বাগত জানিয়েছে। মালদ্বীপ এখনো স্বাগত জানায়। তীরগুলো রয়ে গেছে, সেগুলো দর্শনার্থীদের জন্য একটি প্রশান্তির স্বর্গ এনে দেয়। মালদ্বীপ হচ্ছে দ্বীপের মালা। শ্রীলঙ্কা থেকে প্রায় ৪৫০ মাইল পশ্চিম-দক্ষিণে মালদ্বীপ। সাগরের জলভাগসহ এই দ্বীপ রাষ্ট্রটির মোট আয়তন ৯০ হাজার বর্গ কিলোমিটার। ভারত মহাসাগরে নীল জলরাশির ছোট ছোট প্রায় ১২০০ দ্বীপ নিয়ে স্থলভাগে ২৯৮ বর্গ কিলোমিটার বিস্তৃত মালদ্বীপ। এর মধ্যে ২৫০টি দ্বীপ ব্যবহারযোগ্য। এতে রয়েছে ২৮টি অ্যাটোল। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এর গড় উচ্চতা মাত্র এক দশমিক পাঁচ মিটার। বিষুবরেখার কাছে অবস্থিত হওয়ায় মালদ্বীপ বিশ্বের সবচেয়ে নিচু দেশ হিসেবে পরিচিত। দেশটিতে মাত্র একটি ঋতু আছে। সারা বছর গড় তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শতভাগ মুসলিম দেশ মালদ্বীপের রাষ্ট্রীয় ভাষা ‘ধিবেহী’ আর মালদ্বীপীয় ‘রুপাইয়া’ হলো মুদ্রার নাম। তবে ‘রুপাইয়া’র চেয়ে বেশি প্রচলন দেখলাম মার্কিন ডলারের। জানা যায়, প্রাচীনকালে মুদ্রার পরিবর্তে যে ‘কড়ি’ ব্যবহার করা হতো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে, মালদ্বীপ তার বেশির ভাগের জোগান দিতো। ভারতীয় উপমহাদেশ তো বটেই, আফ্রিকায়ও যেত মালদ্বীপের কড়ি। এ কারণে দ্বিতীয় শতকে মালদ্বীপকে ‘মানি আইল্যান্ড’ নামে ডাকা হতো। ছোট এই দেশের মাথাপিছু গড় আয় প্রায় ১৭ হাজার ডলারের বেশি।

(Photo: Supplied)

Attractions in Maldives

Diving Bluetribe Moofushi, Sun Island beach, Alimatha Island, Manta Point, Banana Reef, Grand Friday Mosque, Hukuru Miskiiy (Old Friday Mosque), HP Reef, National Museum, Veligandu Island beach, Bodu Mora, Hulhumale, Mulee Aage, Utheemu Ganduvaru, Biyadoo Island, Tiny Island Marine Conservation Centre, Kuda Bandos, Muraka Diving

মালদ্বীপের সবচেয়ে বেশি পরিচিত ও তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়বহুল দ্বীপ মাফুশি ছাড়াও সান সিয়াম ওলুভেলি রিসোর্ট আইল্যান্ডে আমরা সময় কাটাই। সুদ আসলে হোটেল কক্ষের জন্য বাড়তি ভাড়া গুনতে হলেও আমরা সুদাসলে তার স্বাদ নিতে পেরেছি। ঘণ্টায় ঘণ্টায় বদলে যাওয়া সমুদ্র জলের রঙের বৈচিত্র্য ধরা নিয়ে মন-প্রাণকে মোহিত করেছে। বিকিনি বিচে সমুদ্র স্নানসহ সকালের চিকচিকে রোদে হোটেলের সামনে পেতে রাখা কাঠের বেঞ্চে বসে সামুদ্রিক খাবার খাওয়া, রেস্তরাঁয় লাঞ্চ শেষে গাছের ছায়ায় বসে বসে ক্লান্তি দূর করা, মাথার উপর প্রাচীন কোনও গাছ থেকে নেমে আসা নানা রকমের পাখির কল-কাকলি, সন্ধ্যে নামার আগে বিষণœ ভালো লাগায় বালুকাবেলায় খালি পায়ে হেঁটে বেড়ানো, রাতের বেলায় তীরে এসে আছড়ে পড়া স্ট্রিং রে মাছের সঙ্গে উৎসব, আরও বেশি রাত বেড়ে গেলে শুধুই প্রকৃতির সঙ্গে মিলেমিশে একাকার, কোথাও শব্দ যন্ত্রণা নাই, কোনো কোলাহল নাই, নির্জনতা বলতে যা বোঝায় মাফুশি কিংবা সান সিয়াম ওলুভেলি রিসোর্ট আইল্যান্ডে কেবল তাই। ওলুভেলি রিসোর্ট দ্বীপের চারপাশে দোতলা-একতলা বিচ বাংলো দিয়ে সাজানো। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে রিসেপশন অফিস, কনফারেন্স হল, রেস্টুরেন্ট, সুইমিংপুল, খেলার মাঠ, ফিটনেস ক্লাব, চিলড্রেন পার্ক, স্পা, সুভেনির শপ, সেলুন ইত্যাদি। এ ছাড়া অ্যাডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটকদের জন্য আছে অনেকটা সমুদ্রের পানির উপরে তৈরি করা ওয়াটার ভিলা, হেভেন ভিলা, হেভেন স্যুট, ওশেন স্যুট প্রভৃতি। খেয়াল রাখবেন রিসোর্ট ভাড়ার সঙ্গে ব্রেকফার্স্ট, লাঞ্চ ও ডিনার কমপ্লিমেন্টারি হিসেবে অগ্রিম অর্থ দিয়ে নিতে হবে। তা না হলে খাবার নিয়ে তীব্র সমস্যায় পড়তে হতে পারে। কারণ সেখানে কোনো বিকল্প খাবারের হোটেল নাই।

Geography of Maldives

The Maldives archipelago consists of 1190 tiny islands scattered across the Indian Ocean. Only 185 of these islands are inhabited, while the others are used largely for tourism and agriculture. The atolls are composed of live coral reefs and sand bars perched atop a 960km submarine ridge, while the land features lush tropical vegetation with abundant local coconut palms. With an average ground level of 1.5m above sea level, the Maldives is by far the lowest country on earth and as such has a very fragile ecosystem. The capital and largest city of the Maldives is Male.

(Photo: Supplied)

Climate in Maldives

The tropical climate is influenced by monsoons, although bright sunny weather with a light sea breeze can be expected most days.

Temperature: 30°C all year round | Sea temperature: 22°C to 28°C

Check in this posthere the best time to visit the Maldives.

maldives (Photo: Supplied)

Languages in Maldives

The locals speak Dhivehi, with English widely spoken in areas frequented by tourists.

(Photo: Supplied)

Culture in Maldives

The local culture features a lively mix of South Indian, Sinhalese and Arab influences that is reflected in the traditional music, cuisine and art of the island.

Money/Currency in Maldives

The monetary unit is the Maldivian Rufiyaa (MVR), while international credit cards are widely accepted by resorts.

মালদ্বীপের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপটটা জানাও জরুরি। যদিও মালদ্বীপ নামকরণ নিয়ে যথেষ্ট মতভেদ লক্ষ্য করা যায়। কেউ কেউ দাবি করেন মালদ্বীপ অর্থ হচ্ছে ‘মেল দ্বীপ রাজ’ বা পুরুষশাসিত রাজ্য। মূলত ‘দ্বীপ’ একটি সংস্কৃত শব্দ আর ‘মাল’ শব্দটি দেশটির রাজধানীর নামের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। ঔপনিবেশিক আমলে ডাচরা তাদের নথিপত্রে এ দ্বীপপুঞ্জের নাম মালদ্বীপ বলে উল্লেখ করেন। পরে বৃটিশরাও একই নাম ব্যবহার করেন, যা দেশটির স্থানীয় নাম হিসেবে ব্যবহৃত হতো। শ্রীলঙ্কান প্রাচীন সাহিত্য ‘মহাবংশ’-এ মালদ্বীপকে বলা হয়েছে ‘মহিলাদ্বীপ’ বা নারীদের দ্বীপ। তবে কিছু কিছু প-িত মনে করেন, মালদ্বীপ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত মালাদ্বীপ থেকে যার অর্থ ফুলের মালার দ্বীপ। তবে প্রাচীন বৈদিক সাহিত্যে এ দ্বীপকে বলা হয়েছে ‘লাক্কাদ্বীপ’ বা শত হাজার দ্বীপ। তবে মালদ্বীপে এক হাজারের বেশি দ্বীপ থাকলেও এক লাখ দ্বীপ নেই। আবার আরব পর্যটক ইবনে বতুতা এ দ্বীপকে বলেছেন ‘মহল দ্বীপ’ বা রাজপ্রাসাদের দ্বীপ। আর মালদ্বীপের রাষ্ট্রীয় প্রতীকে ইবনে বতুতার ব্যাখ্যার নিরিখে এখনো মহল বা রাজপ্রাসাদের ছবি ব্যবহৃত হয়।

Transportation in Maldives

Most tourists will land in the capital, Male, and will be transferred to their hotel either by seaplane or boat. These two means of transport are widely used for most trips between islands.

Where to stay in Maldives ?

In Maldives you can enjoy your vacation either in private Resort Islands, usually little expensive, or you can stay in one of the Hotels/Guesthouses on budget, located in one of the local Islands : that time you can really experience the real Maldivian Life & Culture and save lot of money. 

You can check here all informations and details about the best local islands that we recommend.  

hala Maldif Team are experts in Maldives on budget and we have direct contracts and agreements with most of Guesthouses in Maldives and you can book with us a standard double room starting from 60$ per night for 2 persons in bed and breakfast rate (including all taxes).

Direct Flights to/from Maldives

There are frequent direct flights to Male from most international destinations including India,  Sri Lanka, Dubai, Abu Dhabi and major airports in  South-East Asia, as well as an increasing number of charters from Europe. 

অপরূপ সৌন্দর্যের সমুদ্র সৈকত আর বিলাসবহুল বিচ ভিলা, ওয়াটার ভিলা ও রিসোর্টের জন্য দেশটি সুপরিচিত। ছোট দ্বীপগুলো বিশ্বের ধনী ও খ্যাতনামা ব্যক্তিদের অবকাশযাপনের স্বপ্নের ঠিকানা হয়ে উঠেছে। তবে এই স্বপ্নরাজ্যকে ঘিরে আশঙ্কার কথাও শোনা গেছে জলবায়ু পরিবর্তনকামীদের মুখে। মালদ্বীপ পৃথিবীর সর্বনিম্ন এবং সমতলতম দেশ, ফলে মালদ্বীপ সর্বদা ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে সর্বোচ্চ উচ্চতা মাত্র দুই দশমিক তিন মিটার এবং গড় উচ্চতা মাত্র এক দশমিক পাঁচ মিটার, এ রকম এক জল ডুবুডুবু দেশের নাম মালদ্বীপ। তাবৎ পৃথিবীর পর্যটকদের বিলাস যাপনের অন্যতম লক্ষ্য এই দেশ। ঘন নীল আর শ্যাওলা সবুজ ঢেউ খেলানো ভারত মহাসাগরের বুকে দোল খাওয়া এই অনিন্দ্য সুন্দর ভূখ-ের কোনও তুলনাই নেই। সবচেয়ে বড় ব্যাপার হলো, মালদ্বীপে এমন অনেক রিসোর্ট রয়েছে, যেগুলো এক একটি আলাদা দ্বীপ। আর আমাদের পর্যবেক্ষণে মালদ্বীপের পর্যটন সম্পর্কে অন্যতম সেরা তথ্য হলো এটি পুরো বিশ্বে ভ্রমণ করার সবচেয়ে নিরাপদ জায়গা। এমনকি মালদ্বীপের খুব বিচ্ছিন্ন একটি রিসোর্ট অত্যন্ত নিরাপদ। একবারেই নির্জনে সময় কাটাতে চান এমন পর্যটকরা এসব রিসোর্ট খুবই পছন্দ করেন। দিন দিনই বাড়ছে এমন বিলাসবহুল রিসোর্টের সংখ্যা। এটা ঠিক যে, মালদ্বীপের মূল ভূখ- ডুবে গেলেও নানা দ্বীপেই থেকে যাবে অনেক রিসোর্ট। এ দ্বীপগুলো তৈরি হচ্ছে সেভাবেই। দু’ধরনের দ্বীপ আছে মালদ্বীপে- পাবলিক বা লোকাল আইল্যান্ড এবং ব্যক্তিগত বা প্রাইভেট আইল্যান্ড। কেবলমাত্র পাবলিক বা লোকাল আইল্যান্ডেই স্থানীয় জনগণ বসবাস করেন।

এশিয়ার সবচেয়ে ছোট এবং দুনিয়ার সবচেয়ে নিচু দেশ মালদ্বীপ। দেশটিতে প্রতি বছর বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে লাখ লাখ পর্যটক ভ্রমণ করতে আসে। যেখানে সূর্যাস্ত যাওয়ার পর ঢেউয়ের তালে তালে জ্বলজ্বলে করতে থাকে দেশটির বালুময় সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের পানি থেকে বিচ্ছুরিত হয় অদ্ভুত আলো। সে এক অসাধারণ দৃশ্য যা দেখে চোখ বিস্ময়ে আটকে থাকে। এজন্য অনেকের কাছেই হানিমুনের জন্য সবচেয়ে পছন্দের দেশ মালদ্বীপ। পৃথিবীর মধ্যে মালদ্বীপের সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য বিশ্বব্যাপী আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয়। এখানকার সমুদ্রের রং অতি পরিষ্কার ও নীল এবং বালির রং সাদা। সমুদ্রের মধ্যে হাজার ধরনের মাছ দেখা যায়। মালদ্বীপে বেড়াতে এলে থাকতে পারেন সমুদ্রের পানির ওপর বিশেষভাবে নির্মিত রিসোর্ট, বাড়িতে। এসব রিসোর্ট থেকে পর্যটকরা সমুদ্রের বিভিন্ন রঙের মাছ ও প্রাণি খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ পান; শুনতে পান সামুদ্রিক পাখির ডাক। আর যারা সমুদ্র সৈকতে থাকতে চান, তাহলে তাদের জন্য আছে বিশেষভাবে নির্মিত বিচ ভিলা বা বাড়ি। সাধারণত সমুদ্রের মধ্যে নির্মিত বাড়িগুলো সৈকত থেকে প্রায় ১০ মিটারের মতোন দূরে অবস্থিত। কাঠের সেতু দিয়ে সেগুলোকে সৈকতের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়। কিছু কিছু জায়গায় কাঠের সেতুও থাকে না; পর্যটকরা ছোট নৌকায় করে সমুদ্রের বুকে নির্মিত বাড়িতে প্রবেশ করেন। একমাত্র মালদ্বীপেই বিশালাকার সাবমেরিনে করে সমুদ্রের তলদেশে ঘুরে বেড়ানো যায়, পর্যটকদের প্রায় ১৮০ ফুট পর্যন্ত সমুদ্রের তলদেশে নিয়ে যায়। গভীর সমুদ্রের সৌন্দর্য সবাইকে বিমোহিত করে।

মালদ্বীপের পানির নিচের জগৎ যেকোনো ভ্রমণকারীকে বিস্মিত করবেই। মালদ্বীপের নীল জলরাশির নিচে আলাদা এক জগৎ, যা জীবনে পরিপূর্ণ। সেখানে আছে বর্ণিল প্রবালপ্রাচীর, কচ্ছপ, তিমি ও হাঙর। স্নোরকেলিং ও ডাইভিংয়ের জন্য উপযুক্ত মালদ্বীপে তরঙ্গ ও তরঙ্গের নিচে- উভয় ক্ষেত্রেই উত্তেজনাকর অভিজ্ঞতা মিলবে। মালদ্বীপের প্রবালপ্রাচীরগুলো ক্ষুদ্র প্রাণবন্ত রিফ ফিশ, মোরে আইলস, টুনাসহ শত শত প্রজাতির মাছের আশ্রয়স্থল হিসেবে কাজ করে। তাদের সঙ্গে অন্য প্রাণী, যেমন- সামুদ্রিক কচ্ছপ, অক্টোপাস, স্কুইড, গলদা চিংড়ি ও ডলফিনের বসবাস। দর্শনার্থীদের জন্য সাগরের কয়েকটি বৃহৎ মাছমন্টা রে এবং তিমি ও হাঙরের সঙ্গে সাঁতার কাটার সুযোগ রয়েছে। দ্বীপপুঞ্জের চারপাশের ভারত মহাসাগর বিভিন্ন ক্রিয়াকলাপে পূর্ণ এবং এটির অভিজ্ঞতা অর্জনের সবচেয়ে কার্যকর উপায় স্নোরকেলিং। পুরো দ্বীপের নিজস্ব প্রবালপ্রাচীর আছে। তবে দ্বীপগুলোর নির্দিষ্ট কিছু অংশে তিমি, হাঙর বা দানবীয় মন্টারের সঙ্গে সাঁতার কাটার মতো অজানা কিছু অভিজ্ঞতাও হতে পারে।

অনেকটা ‘ঢেঁকি স্বর্গে গেলেও ধান ভানে’র মতোন ভ্রমণানন্দেও মালদ্বীপকে জানার চেষ্টা অব্যাহত থাকে। অনেকের কাছেই মালদ্বীপ গ্রীষ্মম-লীয় দ্বীপপুঞ্জ, স্বচ্ছ ফিরোজা জল এবং পানির ওপর বিলাসবহুল ওয়াটার ভিলা। তবে বিশ্বমানের রিসোর্টগুলোর বাইরেও ওই দ্বীপ রাষ্ট্রটি নিজস্ব ইতিহাস, ভাষা ও সংস্কৃতিতে সমৃদ্ধ। মালদ্বীপের নিজস্ব অনন্য সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য রয়েছে। ভারত মহাসাগরের প্রান্তের চারপাশের বিভিন্ন সংস্কৃতি দ্বারা ব্যাপকভাবে প্রভাবিত হলেও মালদ্বীপের সংস্কৃতি, কারু ও ঐতিহ্যগুলো দ্বীপের পরিবেশ এবং চারপাশের সমুদ্র দ্বারা প্রভাবিত। ‘দিভেহি’ মালদ্বীপের মানুষের মাতৃভাষা। আর বর্তমান লিপি ‘থানা’ অনন্য। ষোড়শ শতাব্দীর কাছাকাছি সময়ে আরবি সংখ্যা থেকে এর বিকাশ হয়েছে। এ দেশের জনগণ নৌযান নির্মাণে পারদর্শী। মালদ্বীপের ঐতিহ্যবাহী নৌকা ধোনিকে বহু শতাব্দী ধরে বর্তমান রূপ দেয়া হয়েছে। সাগরের বিভিন্ন পরিস্থিতির সঙ্গে এটি মানানসই। ঐতিহ্যবাহী খাবারগুলো মূলত মাছ ও নারকেলভিত্তিক। এই অঞ্চলে এমনটি আর কোথাও নেই। মালদ্বীপের সংগীত ও নৃত্যে পূর্ব আফ্রিকা, আরব ও ভারতীয় উপমহাদেশের জোরালো প্রভাব রয়েছে। এ দেশের কারুকাজের রয়েছে সমৃদ্ধ ঐতিহ্য। কাঠের অলংকার, সূক্ষ্মভাবে বোনা নলখাগড়ার মাদুর এবং প্রবাল খোদাই কারুশিল্প কয়েক প্রজন্ম ধরে চলে আসছে।

সব জায়গাতেই বাঙালিদের দেখে একবারও মনে হয়নি যে আমি দেশের বাইরে কোথাও আছি। মাফুশির শিশুপার্কে বাংলা ভাষায় নোটিশ পড়ে সেই ধারণা আরো জোরালো হয়। আর তাই তো পুরনো না হওয়া, চমকে যাওয়া বিচিত্র প্রকৃতির প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল লীলা-খেলার মাঝেও খুঁজে ফিরি দেশটি সম্পর্কে। জানতে পারি, দেশটির জনসংখ্যা পাঁচ লাখের অধিক এবং অভিবাসীর সংখ্যা প্রায় দুই লাখ। বিচ্ছিন্ন দ্বীপরাষ্ট্র হওয়া সত্ত্বেও মালদ্বীপ বিগত দুই দশকে আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব উন্নতি লাভ করেছে। গত প্রায় এক যুগ ধরে ৬ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করে চলেছে এবং মাথাপিছু আয় প্রায় ১৭ হাজার মার্কিন ডলার ছাড়িয়ে ইতিমধ্যে মালদ্বীপ মধ্যম আয়ের দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। মালদ্বীপের শিক্ষার হার প্রায় ১০০ শতাংশ। জনগণের গড় আয়ু ৭৮ বছর। এসবের পাশাপাশি নারীর ক্ষমতায়ন ও স্বাস্থ্যসেবাসহ বিভিন্ন সেবা জনগণের কাছে পৌঁছতে সক্ষম হয়েছে সরকার। ১৯৭৮ সালে বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হওয়ার পর থেকে দুই দেশ বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় ও আন্তর্জাতিক ইস্যুতে একসঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে। বন্ধুপ্রতিম দেশ হিসেবে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও মানবিক সংকটে বাংলাদেশ সব সময় মালদ্বীপের পাশে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে সুনামি-পরবর্তী সময়ে এবং মালেতে খাবার পানি সংকটে বাংলাদেশ দ্রুত মানবিক সহায়তাসহ মালদ্বীপের পাশে দাঁড়িয়েছিল। ক্ষুদ্র দেশ মালদ্বীপে প্রায় এক লাখের অধিক প্রবাসী বাংলাদেশি রয়েছে, যা দেশটিতে কর্মরত মোট প্রবাসী কর্মীর প্রায় ৭০ ভাগ। প্রবাসী বাংলাদেশিরা এখানে নির্মাণ, পর্যটন, বিপণন, যোগাযোগ, স্বাস্থ্য খাতসহ প্রায় সব ক্ষেত্রেই কাজ করেন। সাম্প্রতিক সময়ে প্রবাসী বাংলাদেশিরা মালদ্বীপ সরকারের গৃহীত নিয়মিতকরণ কার্যক্রমের মাধ্যমে বৈধ হওয়ার সুযোগ গ্রহণ করছেন জেনে ভালো লেগেছে। রেমিট্যান্স যোদ্ধা প্রিয় প্রবাসীদের নানান চাওয়া-পাওয়ার প্রতি বাংলাদেশ সরকার ও সেখানকার দূতাবাস কর্তৃপক্ষ আরও সুনজর দেবেন বলেও প্রত্যাশা করছি।

মালদ্বীপে রয়েছে এমন অনেক দর্শনীয় স্থান, যার কথা এখনও অনেকেই সেভাবে জানেন না। সমুদ্রের তীরবর্তী সেসব স্থানে ভ্রমণ করা যে কোনো ব্যক্তির জন্যই হতে পারে নতুন এক অভিজ্ঞতা। অসাধারণ ও রোমান্টিক অসংখ্য স্থানে প্রতি বছর প্রচুর মানুষ হানিমুন করতে আসেন। মালদ্বীপের দর্শনীয় স্থানের মধ্যে বিচগুলো বিখ্যাত। সেখানে সূর্য অস্ত যাওয়ার পরেই দ্বীপের সৈকত জ্বলজ্বলে হয়ে ওঠে। আর অসাধারণ সে দৃশ্য দেখে চোখ জুড়ায় যেকোনো ব্যক্তির। প্রতিটি দ্বীপের নিজস্ব পরিকল্পনায় সৃষ্ট আরও বেশকিছু দর্শনীয় স্থান আছে। তবে পর্যটকদের কাছে এর সমুদ্র সৈকতই সবচেয়ে জনপ্রিয়। সূর্য ডোবার সঙ্গে সঙ্গে ঢেউয়ের তালে তালে জ্বলজ্বল করতে থাকে এসব দ্বীপের বালুময় সমুদ্র সৈকত। সমুদ্রের অগভীর পানি থেকে যেন বিচ্ছুরিত হতে থাকে অদ্ভুত আলো। কিন্তু কেন সে দ্বীপের সৈকত এভাবে জ্বলজ্বল করে? এ প্রসঙ্গে গবেষকরা জানাচ্ছেন, ফাইটোপ্লাংকটন নামে ক্ষুদ্র এক ধরনের প্রাণী তৈরি করে এ আলো। এটি অন্ধকারে জ্বলজ্বল করে। আর তা দেখে মোহিত হয় আমাদের মতোন ভ্রমণপিপাসু মানুষ।

শতভাগ মুসলিম জনগোষ্ঠীর দেশ হয়েও, বিগত কয়েক বছর ধরে দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপ রাষ্ট্র মালদ্বীপ পৃথিবীর সেরা পর্যটক গন্তব্যের স্বীকৃতি পেয়ে আসছে। সেটার প্রমাণ মেলে আমাদের ভ্রমণকালে। দেখে মুগ্ধ হয়েছি সেখানকার প্রাকৃতিক সৌন্দর্যকে কাজে লাগিয়ে সরকারি নীতির সহায়তায় বেসরকারি উদ্যোগে পর্যটকদের জন্য কীভাবে পর্যটক বান্ধব স্বর্গরাজ্য  তৈরি করা হয়েছে। ইউরোপ ও আমেরিকার ভ্রমণপিপাসুদের অন্যতম আকর্ষণে পরিণত হওয়া মালদ্বীপের মতো বাংলাদেশেও এমন কিছু করার সম্ভাবনা থাকলেও, তা রয়ে গেছে শুধু কাগুজে বক্তব্যে। মালদ্বীপ মুসলিম দেশ হলেও মেয়েদের পোশাক পরিধানের ব্যাপারে কোনো বাধ্য বাধকতা নেই। মালদ্বীপের রাজধানী মালে কিংবা মাফুশির রাস্তায় স্থানীয় নারী মানেই বোরকা আর হিজাব পরা। এটি দেখে যারা কট্টর রক্ষণশীল মালদ্বীপের কথা ভাবছেন, তারা জেনেছেন বিগত কয়েক বছর ধরে পৃথিবীর সেরা পর্যটক গন্তব্যের দেশ হিসেবে স্বীকৃতি পেয়ে আসছে মালদ্বীপ। সেটা অকারণে হচ্ছে না। ভ্রমণকারীদের চাহিদা পূরণের প্রেক্ষিতেই পর্যটনশিল্প দাঁড়িয়ে আছে। মালদ্বীপ একটি মুসলিম দেশ বলে পর্যটক এবং দর্শনার্থীদের তাদের নিয়মকে সম্মান করার জন্য অনুরোধ করা হয়ে থাকে। শুধুমাত্র প্রাইভেট আইল্যান্ডে, রিসোর্টগুলোতে অ্যালকোহল বা মদ্যপানের অনুমতি রয়েছে। তবে ভাসমান বিলাসবহুল নৌ- তরীতেও বার ও নাচ-গানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। মালদ্বীপের অধিকাংশ রিসোর্ট সমুদ্রের মধ্যে কিছুটা উঁচুতে অবস্থিত। এসব রিসোর্টে থাকতে মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়। দেশটিতে সরকার পর্যটনের জন্য শুধু নীতি সহায়তা দেয়। আর বেসরকারি উদ্যোক্তারা তাদের মতো করে পর্যটন ব্যবসা করছেন। এর জন্য যত প্রকার সুযোগ-সুবিধা তৈরি করা যায় তার সব কিছুই করছে বেসরকারি খাত। স্থানীয় জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় মত ও পথ যাই থাকুক না কেন, তারা পর্যটনকে শতভাগ নিরাপদ, নির্বিঘ্ন আর ঝামেলাহীন রাখতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেন। কারণ দেশটির মোট আয়ের ৭০ ভাগই আসে পর্যটন খাত থেকে। পর্যটনের মূল আকর্ষণ হলো রিসোর্ট আইল্যান্ড। সেখানে বিশ^ায়নের যুগে সেবার সহজীকরণ ও আন্তর্জাতিকীকরণের দেখতে পাই। আগত পর্যটকদের চাহিদা পূরণের প্রতি বিশেষ নজর দিয়ে প্রয়োজনীয় আনন্দ উপাদানগুলোর জোগান দিয়ে সহজেই মন জয় করেছে মালদ্বীপের ব্যবসায়ীরা। নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতকরণের পাশাপাশি সকলের প্রত্যাশার প্রতি মনোযোগ দেয়ায় সব ধরনের সংস্কৃতির মানুষই এখানে আসতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। আর এভাবেই এই পর্যটনই দুই দশকে দেশটির অবকাঠামোকে ইউরোপ মানে নিয়ে গেছে। আর তাই মালদ্বীপে বাংলাদেশি কর্মী ভাইদের বক্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য মনে করি, পর্যটনে মালদ্বীপের কাছ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার রয়েছে। তাদের মতে, বাংলাদেশে পর্যটন শিল্পের প্রধানতম বাধা পর্যটনখাত নিয়ে কাজ করা ব্যক্তিদের এই খাতটিকে বুঝতে না পারা। বিভিন্নজনের সঙ্গে আলাপকালে এই দেশটি থেকে পর্যটনের শিক্ষা নিতে পারলে বাংলাদেশেও বিপুল সম্ভাবনার এই খাত অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে মনে করেন সেখানকার পর্যটন সংশ্লিষ্টরা। ফলে বাংলাদেশের জন্য অনুসরণযোগ্য হতে পারে পর্যটনে মালদ্বীপ ব্যবস্থাপনা মডেল।

দু’দণ্ড শান্তি পেতে মালদ্বীপ আমাকে আজো কাছে টানে ভ্রমণের আগের চেয়েও গভীর আকর্ষণে, প্রবলভাবে। মহাসাগরের ‘আকাশে উড়িয়ে বকপাতি’র দিকে তাকিয়ে থাকা উদাস ভ্রামণিকের মনে স্বামী রামকৃঞ্চ পরমহংসদেব যেমনটি বলেছিলেন- ‘সংসার, ভোগ-বাসনা যতদিন থাকবে, ততদিনই কেউ কর্মত্যাগ করতে পারে না’ চরণ স্মরণে এলেও মালদ্বীপে গেলে এই কর্মকথা ভুলে যেতেই হয় যেন। জীবনের সব কোলাহল ভুলে আমি বার বার যেতে চাই মালদ্বীপের নীল জলের কাছে, বালুকাবেলায় সমুদ্রের স্বাদ নিতে।