নয়াপল্টন নাকি সোহরাওয়ার্দী উদ্যান, এ নিয়ে বিরোধের মধ্যে আলোচনায় কমলাপুর স্টেডিয়াম ও মিরপুর বাঙলা কলেজ মাঠ। তবে শেষ পর্যন্ত ঢাকায় বিএনপির সমাবেশের স্থল ঠিক হয়েছে গোলাপবাগ মাঠ।
জমায়েতের আগের দিন রাজধানীর এক প্রান্তে সায়দাবাদ ঘেঁষা বড় এই মাঠটি নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয় থেকে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার দূরে।
শুক্রবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের প্রধান হারুন অর রশীদের সঙ্গে দেখা করে সেখানে জমায়েতের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে নিশ্চিত করেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘১০ ডিসেম্বর বিএনপির গণসমাবেশ রাজধানীর গোলাপবাগ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।’
এ সময় সঙ্গে ছিলেন দলের আইন বিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামালও।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি পেলেও নয়াপল্টনেই সমাবেশ করার ঘোষণা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যে বৃহস্পতিবার রাতে নাটকীয়ভাবে বিএনপির পক্ষ থেকে কমলাপুর স্টেডিয়াম বা মিরপুরের বাঙলা কলেজ মাঠ- যে কোনো একটিতে সমাবেশের কথা জানানো হয়। কোথায় সমাবেশ হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে মাঠ দুটি পরিদর্শনের কথাও জানানো হয়।
তবে গভীর রাতে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের পর তৈরি হয় নতুন পরিস্থিতি। এর মধ্যে আবার কমলাপুর স্টেডিয়ামে ক্রিকেট খেলা চলার বিষয়টি সামনে আসে। আবার বিএনপির পক্ষ থেকে বাঙলা কলেজ মাঠ নিয়ে আপত্তিও আসতে থাকে।
এর মধ্যে দুপুরের পর বিএনপির দুই নেতা যান ডিএমপির গোয়েন্দা প্রধানের কাছে। বের হয়ে জাহিদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা ছিল আমরা কমলাপুর স্টেডিয়ামে গণসমাবেশ করব। সেখানে যেহেতু খেলা চলছে এবং কর্তৃপক্ষ আমাদের বলল অন্য একটা জায়গায় আপনারা বিবেচনা করতে পারেন।
‘সেটার প্রেক্ষিতে আমরা গোলাপবাগ মাঠে আমরা আমাদের চয়েজ দিয়েছি এবং আমাদের চয়েজের প্রেক্ষিতে উনারা বলেছেন একটা লিখিতভাবে উনাদের কাছে দেয়ার জন্য। সেটা আমরা দিয়েছি। ওই জায়গায় গণসমাবেশ করার জন্য উনারা আমাদেরকে বলেছেন।’
তিনি বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তা হারুন অর রশীদের সঙ্গে আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। আমরা মাঠটি পরিদর্শন করে এখন সমাবেশের জন্য প্রস্তুতি নেব।… আগামীকাল গোলাপবাগে আমাদের সমাবেশ হবে। পুলিশ সকল ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে বলে আশ্বস্ত করেছে।’