আজ ১১ রবিউস সানি, ৭ নভেম্বর (সোমবার) পবিত্র ফাতেহায়ে ইয়াজদাহম। সারা দেশে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদায় ও ভাবগাম্ভীর্যে দিবসটি পালিত হবে। বড়পীর হযরত আবদুল কাদের জিলানী (র.) এর ওফাত দিবস। বিশ্বের মুসলমানদের কাছে ‘ফাতেহা-ই-ইয়াজদাহম’ নামে পরিচিত।
‘ইয়াজদাহম’ ফারসি শব্দ, যার অর্থ এগারো। ‘ফাতেহায়ে ইয়াজদাহম’ বলতে রবিউস সানি মাসের এগারো তারিখের ফাতেহা শরিফকে বোঝায়।
হযরত আবদুল কাদের জিলানি (বড়পীর)কে সব আউলিয়ায়ে কেরামের সর্দার হিসেবে গণ্য করা হয়। ৫৬১ হিজরীর ১১ রবিউস সানী আধ্যাত্মিক জগতের এ মহান সাধক কোটি কোটি ভক্ত অনুরক্তকে শোক সাগরে ভাসিয়ে দুনিয়ার জীবন থেকে পর্দা করেন।
হযরত মহিউদ্দীন আবদুল কাদের জিলানী (র.) ছিলেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ মোস্তাফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অধস্তন বংশধর। তিনি ৪৭০ হিজরি মোতাবেক ১০৭৭ ঈসায়ী সনে পবিত্র রমজান মাসের ১ তারিখ সেহরির ওয়াক্তে ইরাকের জিলান শহরে জন্মগ্রহণ করেন।
তার বাবা বিশিষ্ট বুজুর্গ সাইয়েদ আবু সালেহ জঙ্গি আর মাতা সাইয়েদা উম্মুল খায়ের ফাতেমা। বড়পীর তৎকালীন বাগদাদের শ্রেষ্ঠ বিদ্যপীঠ নিজামিয়া মাদরাসায় কোরআন, হাদীস, ফিকাহ, আকাইদ ইত্যাদি বিষয়ে ব্যাপক পাণ্ডিত্য অর্জনপূর্বক সেখানে দীর্ঘদিন অধ্যাপনা করেন। তিনি অসাধারণ আধ্যাত্মিক সাধনা বলে মানুষের মাঝে চারিত্রিক প্রভাব ফেলতে সক্ষম হয়েছিলেন।
শুধু আজকের দিনই নয়, পুরো রবিউস সানি মাসেই ফাতেহায়ে ইয়াজদাহম উপলক্ষে মিলাদ মাহফিলসহ নানা ধর্মীয় কর্মসূচি পালন করেন মুসলমানগন। বিশেষ করে তরিকায়ে ক্বাদেরিয়ার অনুসারী দেশ- বিদেশের অগণিত মানুষ গভীর শ্রদ্ধাভরে এদিবসটি পালন করে থাকেন।
এ উপলক্ষে আজ কুমিল্লা নগরীর দারোগা বাড়িতে হযরত শাহ আব্দুল্লাহ গাজীপুরী(রং:) মাজার মসজিদ, হযরত আইনুদ্দিন শাহ (র:) , কান্দিরপাড় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ,বখশীয়া দরবার শরীফ,শাহপুর দরবার শরীফ, বুড়িচং উপজেলার উত্তরগ্রাম আঞ্জুমানে হাসানিয়া দরবার শরীফ, হযরত শাহসূফী ফকির আব্দুস সালাম ( রহ:) মাজার ও খানেকা শরীফের উদ্যোগে পবিত্র বারভি শরীফ ও ফাতেহায়ে ইয়াজদাহম মাহফিল যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হবে। এ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচিতে রয়েছে, বাদ মাগরিব থেকে নাতে রাসুল (দ.), খতমে গাউছিয়া শরীফ, মিলাদ-কিয়াম , আখেরি মুনাজাত ও তাবারুক বিতরণ।
গাজী মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম জাবির, ধর্মীয় অনুষ্ঠান উপস্থাপক ও সিনিয়র সহ-সভাপতি বুড়িচং প্রেসক্লাব, কুমিল্লা।