প্রায় ২৭ বছর প্রবাস জীবনে অনেক টাকা পয়সা ইনকাম করেছেন,বাড়িঘর সবই তৈরি করেছেন।দেশে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বিমানের টিকেট নিয়েছিলেন।স্ত্রী-সন্তানের আবদার অনুযায়ী মাল-সামানা কিনে সকল প্রস্তুতিও সম্পন্ন।
যেদিন ফ্লাইট সেদিন সকালে হঠাৎ খবর আসলো সে যে দোকানটা চালাতো সে দোকানটা আরবি বিক্রি করে দিয়েছে!খবর শুনে ফ্লাইট বাতিল করল, এদিক সেদিক ছুটাছুটি এবং আরবি কে ফোন দিয়ে নিশ্চিত হলো।
তড়িঘড়ি করে অন্যত্র একটি দোকান নিলো এবং পুরান দোকানের সকল মালছামানা সেই দোকানে নিয়ে নতুন করে দোকান সাজালো।
মাসখানেক যেতে না যেতেই হঠাৎ করে হার্ট এটাক করলেন।তড়িঘড়ি করে রুমমেটরা হাসপাতালে নিয়ে গেলেন, তিনদিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পরে মৃত্যুর কাছে হার মেনে গেলো।
মৃত্যুর খবর ও লাশ দেশে পাঠানোর জন্য উনার স্ত্রী ও সন্তানদের সাথে যোগাযোগ করা হলো।প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকার মতো খরচ করে লাশ দেশে নিবেনা বলে জানালেন।সম্ভব হলে চাঁদা তুলে লাশ দেশে পাঠানোর জন্য বললেন।
অথচ এই স্ত্রী সন্তানের জন্য ২৭ টা বছর প্রবাসে কাটিয়ে দিলেন।
সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন স্ত্রী-সন্তানের সকল শখ আহ্লাদ পূরণ করার জন্য ।জায়গা-সম্পত্তি, ঘরবাড়ি, ব্যাংক-ব্যালেন্স সবই রেখে গেছেন স্ত্রী সন্তানদের জন্য।আজ সেই প্রাণ প্রিয় স্ত্রী-সন্তান সামান্য কিছু টাকা খরচ করে দেশে লাশ নিতে রাজি নয়।
প্রবাসীদের টাকা ভোগ করতে সবার কাছে মজা লাগে কিন্তু প্রবাসীদের লাশটা গ্রহণ করার মত একজন মনুষ খুঁজে পাওয়া যায় না।
লেখা সংগ্রহীত একজন প্রবাসীর সত্য ঘটনা,