গত ২৪ মাসে অন্তত তিন লাখ বাংলাদেশি কাজের জন্য গেছেন। এত বিপুল সংখ্যক বাংলাদেশি সেখানে কাজের জন্য গেলেও, বিদেশি কর্মীদের কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি তেমন সুখকর নয়। কয়েক লাখ টাকা খরচ করে যাওয়া বাংলাদেশিরা ঠিক মত কাজ পাচ্ছেন না। ফলে নিরুপায় হয়ে বিপুল টাকা খরচ করে যাওয়া লোকজন ওমানে আইনসম্মত নয় এমন কাজ করছেন। সামগ্রিকভাবে ভিসার অপব্যবহার ঠেকাতে বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য সব ধরনের ভিসা দেওয়া স্থগিত করেছে ওমান।
রয়্যাল ওমান পুলিশ (আরওপি) গত মঙ্গলবার থেকে বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়ার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা দিলেও গতকাল পর্যন্ত এ সিদ্ধান্তের কারণ জানায়নি। বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) বিষয়টি নিয়ে দেশটির কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওমানে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাজমুল ইসলামের আলোচনার কথা রয়েছে।
রয়্যাল ওমান পুলিশের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পর্যটক ও ভ্রমণ ভিসায় যে বিদেশিরা ইতিমধ্যে ওমানে এসেছেন, তাদের জন্য ‘ভিসা পরিবর্তন’ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
এর আগে পর্যটন ও ভ্রমণ ভিসায় ওমানে গিয়ে প্রবাসীরা কর্মী ভিসা নিতে পারতেন। এ সুবিধা স্থগিত হওয়ায় এ রকম যারা এখন ওমানে অবস্থান করছেন, তাঁদের নিজ দেশে ফিরে কাজের ভিসা নিয়ে আবার ওমানে যেতে হবে। তবে এ সুযোগ বাংলাদেশিদের জন্য থাকছে না। কেননা, বাংলাদেশিদের জন্য সব ধরনের ভিসা ইস্যু স্থগিত থাকবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ কার্যকর থাকবে।
বাংলাদেশ জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটির) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মোট কর্মসংস্থানে তৃতীয় হলেও কয়েক বছর ধরে কর্মী পাঠানোর হিসাবে দ্বিতীয় বৃহত্তম শ্রমবাজার ওমান। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৮ লাখের বেশি কর্মী পাঠানো হয়েছে। গত বছর দেশটিতে গেছেন ১ লাখ ৭৯ হাজার ৬১২ বাংলাদেশি।