বুড়িচংয়ে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্তসময় পার করছেন কৃষকরা

শীতকালীন সবজি আবাদে জমি প্রস্তুতের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার সবজি চাষিরা। কেউ হাতে কোদাল ও নিড়ানী, কারো হাতে বীজ। আবার ক্ষেতের মাটিতে জৈবসার মিশিয়ে কেউ কেউ জমি প্রস্তুত করছেন, কেউবা বীজ বপন করছেন  জমিতে। কেউ আবাদ করা সবজির ক্ষেত পরিচর্যা করতেও দেখা গেছে ।


স্থানীয় কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ওই উপজেলায় এ বছর মোট ৫৫০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের শীতকালীন সবিজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আবহাওয়া  অনুকূলে থাকলে এ বছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে সবজি আবাদ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার সবজির মাঠ ঘুরে দেখা গেছে উপজেলার সবজি চাষিরা শীতকালীন সবজি আবাদের লক্ষ্যে জমি প্রস্তুত ও বীজ বপনের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এসব সবজির মধ্যে বাঁধাকপি, ফুলকপি, মূলা, করলা, লাল শাক, পালংশাক, শিম, টমেটো, বেগুন, লাউ, শসা, মিষ্টি কুমড়া, বরবটি, ডাটা, চিচিঙা, ক্যাপসিকাম, পটল, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন জাতের সবজি রয়েছে।
কোথাও কোথাও দেখা গেছে সদ্য বপন করা বীজ থেকে বেরিয়ে আসছে বিভিন্ন সবজির সবুজ চারা। চাষিরা শীতকালীন এসব ফসলের পরিচর্যায় ব্যস্ত আছেন।

উপজেলার দক্ষিণ গ্রাম এলাকার সবজি চাষি জুলফু মিয়া জানান- তিনি এবার ২৫ শতক জমি সবজি চাষের জন্য প্রস্তুত করেছেন। এই জমিতে বাঁধাকপি ও ফুলকপি চাষ করবেন তিনি। এছাড়া অন্য মাঠে আরও ২০ শতক জমি প্রস্তুত করা আছে তার। ওই জমিতে মরিচ, ডাটা ও টমেটো চাষ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। এ বছর প্রকৃতি অনুকুলে থাকলে এসব সবজি চাষে লাভবান হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। উপজেলার নিমসার এলাকার সবজি চাষি চারু ও মান্নান বলেন, গত কিছুদিনের টানা বৃষ্টির আগে আমার ৩০ শতক জমিতে বিভিন্ন জাতের সবজি আবাদ করেছিলাম। এগুলো অতি বৃষ্টির কারণে নষ্ট হয়ে গেছে। একই জমি আবারও আমি সবজি চাষের জন্য প্রস্তুত করছি। খুব শীঘ্রই এতে বীজ বপন করবো।সদ্য গজিয়ে ওঠা লালশাক পরিচর্যা করছেন কালিকাপুর এলাকার সবজি চাষি আফাজ উদ্দিন , তিনি বলেন, সবজি চাষের জন্য আবহাওয়া বর্তমানে ভালো আছে। এ বছর আমি ২০ শতক জমিতে লালশাক আবাদ করেছি। ২৪ শতকের অন্য আরেকটি জমিতে ক্যাপসিকাম আবাদ করেছি। আশা করছি এ বছর সবজির উৎপাদন ভালো হবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আফরিণা আক্তার বলেন , বর্তমানে শীতকালীন সবজি আবাদে আবহাওয়া অনুকূলে আছে। আশা করছি বড় ধরনের কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর শীতকালীন সবজির ফলন ভালো হবে। সবজি আবাদে কৃষক লাভবান হবে।  উপজেলা কৃষি অফিস প্রান্তিক কৃষকদের পাশে আছেন।


এএনবি২৪ /গাজী জাহাঙ্গীর আলম জাবির।