বিয়ের রাতে যুবক জানতে পারেন, তার স্ত্রী তৃতীয় লিঙ্গের,। তৃতীয় লিঙ্গের। কিন্তু বিয়ের ৪ বছর পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন যুবক। এত বছর পর কেন যুবক কেন পুলিশের কাছে এসেছে জানতে চাইলে, যুবক পুলিশকে জানায়, তার স্ত্রী যে আসলে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ, সেই বিষয়টি বিয়ের আগে গোপন করা হয়। সেই সঙ্গে বিয়ের পর স্ত্রীর পরিবার তাকে বিষয়টি গোপন রাখতে হুমকি দেয়। যুবকের দাবি, তাকে নীরব থাকতে বলা হয়েছিল।
যুবক মুখ খুললেই তার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যে মামলা করার ভয় দেখানো হয়। গুরুতর ধারায় তাদের জেলে পাঠানো হবে বলেও হুমকি দিয়েছিলেন তার স্ত্রী। যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, তার স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় তার কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন।সম্প্রতি তারা যুবকের কাছে ২০ লক্ষ টাকা দাবি করেন। টাকা না দেওয়ায় যুবকের উপরে হামলা চালানো হয় বলে দাবি করেছেন যুবক। স্ত্রী ও শ্বশুরবাড়ির অত্যাচারে বিরক্ত হয়ে বিয়ের ৪ বছর পর থানায় অভিযোগ করেছেন তিনি। পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করেছে।
ঘটনাটা ২০১৯ সালের। ভারতের মোরদাবাদের কোতোয়ালি গ্রামের এক বাসিন্দার সঙ্গে পাশে বিজনৌর জেলায় এক যুবতীর বিয়ে ঠিক হয়। দুই পরিবারের সম্মতিতেই ধুমধাম করে বিয়ে দেওয়া হয় দু’জনের। কিন্তু ফুলশয্যার রাতেই যুবক জানতে পারেন, স্ত্রী আদতে মহিলা নন।