আটকের পর দুই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বিএনপির প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ বলছে, তার বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর ও রাজধানীর ধানমন্ডিতে দুটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল।
গতকাল গভীর রাতে ধানমন্ডি থেকে আটকের পর আজ বুধবার দুপুর ১২টায় তাকে আদালতে নেয় পুলিশ। বিএনপির এই কেন্দ্রীয় নেতাকে সাতদিনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ। ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) পারভেজ ইসলাম এ তথ্য জানিয়েছেন।
ওসি বলেন, বিএনপি নেতা এ্যানির বিরুদ্ধে দুটি মামলায় গ্রেফতারি পরোয়ানা ছিল। মামলা দুটির মধ্যে একটি ধানমন্ডি থানায় করা নাশকতা মামলা ও অপরটি লক্ষ্মীপুর জেলায় করা। একটি মামলায় ওয়ারেন্ট ছিল। এই দুই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়।
ওসি আরও বলেন, সাতদিনের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হয়েছে তাকে। পুলিশ বলছে, ২৫ মে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নাশকতার মামলায় ৩০ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি ছিলেন শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি। এদিকে বুধবার ১১ অক্টোবর বেলা সাড়ে ১১টায় বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন: বিএনপির প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন এ্যানিকে ডাকাতের মতো ধরে নিয়ে গেছে।
তিনি বলেন: আমি খুব ক্ষোভের সঙ্গে জানাতে চাই, মধ্যরাত ২টায় আমাদের প্রচার সম্পাদক ও মিডিয়া সেলের সদস্য সচিব শহীদ উদ্দীন এ্যানিকে যে বর্বর বা ডাকাতির পদ্ধতিতে গ্রেপ্তার করেছে তাতে প্রমাণ করে যে এই সরকার একতরফা নির্বাচনের দিকে যাচ্ছে। এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। তার কোনো দোষ থাকলে তাকে থানায় যেতে বলতে পারতো। কিন্তু সন্ত্রাসী কায়দায় যেভাবে ডাকাত হামলা করে সেভাবে তাকে আটক করা হয়েছে। এমনকি আমাদের যে সব নেতা জামিন পাচ্ছে তাদের জেলগেট থেকে আটক করা হচ্ছে।