মালদ্বীপে প্রবাসীকে অপহরণ করে দেশে মুক্তিপণ আদায়

মালদ্বীপের রাজধানী মালে শহর। ছবি: সংগৃহীত

মালদ্বীপের স্থানীয় একটি পত্রিকার বরাতে জানা যায়, বাংলাদেশ দূতাবাস ও স্থানীয় নাগরিকদের সহায়তায় জলিল মিয়াকে উদ্ধার করে মালদ্বীপ পুলিশ। ঘটনার সঙ্গে জড়িতরা সবাই প্রবাসী বাংলাদেশি। তবে মূল হোতা বাংলাদেশি আরিফসহ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

এর আগে, অপহৃতের স্ত্রী বাংলাদেশ থেকে ফোন দিয়ে মালদ্বীপে অবস্থানরত তার এক আত্মীয় রাকিবকে অপহরণের বিষয়টি জানান। তিনি তাৎক্ষণিকভাবে বাংলাদেশ দূতাবাস ও মালদ্বীপ পুলিশকে অবহিত করেন। এরপরই জলিল মিয়াকে উদ্ধারে পুলিশ অভিযান শুরু করে। তার আগেই জলিল মিয়াকে নির্যাতন থেকে রক্ষা করতে তার পরিবার অনলাইনে অপহরণকারীদের কাছে ৫০ হাজার টাকা পাঠায়। 

এ বিষয়ে মালদ্বীপের বাংলাদেশ দূতাবাসের শ্রম কাউন্সিলর মো. সোহেল পারভেজ বলেন, ‘জলিল মিয়ার বিষয়টি জানার পরপরই আমরা মালদ্বীপ পুলিশের সহযোগিতায় তাকে উদ্ধার করি।’ এ ধরনের অপরাধমূলক কাজে যুক্ত না হওয়ার জন্য মালদ্বীপে বসবাসরত  প্রবাসী বাংলাদেশীদের সর্তক করেন তিনি।

জলিল মিয়ার নিজ এলাকার বাসিন্দা ও মালদ্বীপ প্রবাসী রুবেলের কাছ থেকে অপহরণকারীরা ৬ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়।মালদ্বীপ প্রবাসী রাকিব জানান, গত ৩ অক্টোবর জলিলকে মালদ্বীপের তিলাফুশী আইল্যান্ড থেকে এনে রাজধানী মালে আটকে রেখে তারই ফোনে কল করে টাকা দাবি করে। কিন্তু জলিল মিয়া কোথায় আছে জানতে চাইলে অপর প্রান্ত থেকে ফোন কেটে দেয়। তারপর বাংলাদেশ দূতাবাস এবং মালদ্বীপ পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে পাঁচ দিন পর তাকে উদ্ধার করা হয়। এরপর জলিল মিয়াকে তার কোম্পানির সহযোগিতায় দেশে পাঠানো হয়।