মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ‘আরও মজবুত ও জোরদার করতে চান’ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
সোমবার নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৮তম অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৈনন্দিন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
দেশে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে সরকারের দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অহিংস নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতা নির্বিশেষে সবাইকে সর্বোচ্চ আন্তরিকতা প্রদর্শন করতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে পারব।’
এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘আগামী সাধারণ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের দৃষ্টান্ত স্থাপনের জন্য সরকার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘ইসি একটি আইনে গঠিত এবং প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ করেন না।এমনকি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনারদের অপসারণ করতে পারেন না। কোনো সরকারি কর্মচারী অনিয়মের সঙ্গে জড়িত থাকলে ইসি তাকে সাময়িক বরখাস্ত, বরখাস্ত বা শাস্তি দিতে পারে।’
ভোট কারচুপি হলে ইসি কোনো ভোটকেন্দ্রের ভোট বাতিল করতে পারে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনকে (নির্বাচন সংক্রান্ত) নিরঙ্কুশ কর্তৃত্ব দেওয়া হয়েছে।’
ব্রিফিংয়ে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমেরিকার সঙ্গে বাংলাদেশের অত্যন্ত উষ্ণ সম্পর্ক রয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এই সম্পর্ককে আরও মজবুত ও জোরদার করতে চান।’
‘একজন বন্ধু অন্য বন্ধুকে উপদেশ দিতে পারে’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা তাদের অনেক উপদেশ গ্রহণ করেছি। যদি পরামর্শটি বাস্তবানুগ হয় তবে আমরা অবশ্যই সেগুলো গ্রহণ করব।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নীতি সম্পর্কে মোমেন বলেন, ‘যারা নির্বাচন বানচাল করবে তাদের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে। এটা আমাদের জন্য ভালো। কারণ আমরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। আমরা চাই এখানে কেউ যেন ভোট বিঘ্নিত করতে না পারে এবং সহিংসতা করতে না পারে। সুতরাং, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। আমরা বিষয়টি নিয়ে খুব নিবিড়ভাবে কাজ করছি।’