প্রবাসীর নিরবে ভিজে যায় চোখের পাতা
কষ্টের আঘাতে বেড়ে যায় বুকের ব্যথা
জানিনা এই ভাবে কাটাতে হবে কতদিন
প্রবাসীদের এই জীবনে কি আসবে না সুখের দিন।এইভাবে করে দেশ ও পরিবার প্রবাসীদের ঋণ পরিশোধ
এমন-ই এক মিশর প্রবাসী, বাংলাদেশি কমিউনিটি ও দূতাবাসের সহযোগিতায় কায়রো থেকে দেশে ফিরলেন সন্দীপের মাইজহাট ভাংগা গ্রামের সহিদ উল্লাহর অসুস্থ ছেলে সাহজাদা হোসেন।
২০১২ সালে সাহজাদা মিশর এসেছিলেন আওয়াল গামা শহরে পোশাক শিল্প প্রতিষ্ঠানে কাজ নিয়ে। ২০১৮ সালে ছুটিতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কয়েকদিন থাকার পর আবার ফিরে আসেন কর্মস্থলে। কাজ করে যা আয় করতেন সবই পাঠাতেন পরিবারের কাছে।
গত ৬ মাস আগে হঠাৎ করে করে স্ট্রোক করলে বাংলাদেশি সহকর্মীরা তাকে ভর্তি করেন কায়রোর সৌদি-জার্মান হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ডাক্তার জানান, অস্ত্রোপচার করতে হবে, বিপুল অংকের অর্থের প্রয়োজন।
সহকর্মীরা সাহজাদা পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা সহযোগিতা করতে অস্বীকৃতি জানান। সহকর্মী আলাল উদ্দিন তাকে নিয়ে যান তার বাসায়। এর কয়েকদিন পর সাহজাদা মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলেন।
অসুস্থ হয়ে পড়ায় সাহজাদা কোনো কাজ করতে পারতেন না।প্রবাসী মাকসুদ আজহারী বলেন, ‘সাহজাদার পরিবারে স্ত্রী, ৩ মেয়ে ও মায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করি তাকে দেশে পাঠাতে। কিন্তু তারা সহযোগিতা করেননি। এমনকি এক পর্যায়ে ফোন করলে তারা ধরতেন না।’
অবশেষে মিশরে মানবকল্যাণ গ্রুপের মাধ্যমে বাংলাদেশ কমিউনিটির সহযোগিতায় গত ৩১ জানুয়ারি কায়রো বিমানবন্দর থেকে সৌদি এয়ারলাইন্সে সাহজাদাকে দেশে পাঠানো হয়।
লেখক: মিশরপ্রবাসী সাংবাদিক