
মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং–ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের রাজনীতিতে নতুন মাত্রা যোগ করলেন ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়েছেন। এলাকাবাসীর আশা–আকাঙ্ক্ষা, উন্নয়ন ও মানবকল্যাণকে সামনে রেখে তিনি জনগণের সমর্থন প্রত্যাশা করছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কালাকচুয়া ওয়াই জংশনে বিশাল আকারের একটি বিলবোর্ড এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এই বিলবোর্ডে শোভা পাচ্ছে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর ছবি, সাথে সাবেক চার সংসদ সদস্য মরহুম আবদুল মতিন খসরু, অধ্যাপক মোহাম্মদ ইউনুস, অধ্যাপক মফিজুল ইসলাম ও মেজর এম এ গনির নাম ও ছবি। অতীতের নেতাদের স্মরণ করে এবং তাঁদের অবদানকে সম্মান জানিয়ে তৈরি এই ব্যতিক্রমী প্রচারণা সাধারণ মানুষের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এ ধরনের উদ্যোগ রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে একটি ভিন্নমাত্রার উদাহরণ।
গত দুই দশক ধরে সোহরাব খান চৌধুরী পরিবার ব্রাহ্মণপাড়া ও আশপাশের এলাকায় মানবকল্যাণ, শিক্ষা ও সামাজিক উন্নয়নের কার্যক্রমে বিশেষ ভূমিকা রেখে আসছে। তাঁর বড় ভাই যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী শিক্ষানুরাগী মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী এলাকায় একাধিক স্কুল, কলেজ ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেছেন। সেই ধারা অনুসরণ করেই ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী মসজিদ-মাদরাসা উন্নয়ন, শিক্ষার প্রসার ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কাজে নিয়োজিত আছেন।
প্রচারণায় ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা, ন্যায়ভিত্তিক রাজনীতি এবং মানবকল্যাণমূলক সমাজ গঠনের দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। তিনি বিশ্বাস করেন, সৎ ও সেবামূলক নেতৃত্বই একটি জনগণকেন্দ্রিক রাজনৈতিক সংস্কৃতি গড়ে তুলতে পারে। তাঁর মতে, “রাজনীতি হলো মানুষের সেবার সর্বোত্তম ক্ষেত্র, আর আমি সেই সেবার অঙ্গীকার নিয়েই প্রার্থী হয়েছি।”
বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাধারণ মানুষ বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী এবং তাঁর পরিবার সমাজের জন্য যে অবদান রেখে আসছে, সেটিই তাঁকে অন্য প্রার্থীদের থেকে আলাদা করেছে। অনেকেই মনে করছেন, তাঁর আন্তরিকতা ও সেবামূলক কর্মকাণ্ড যদি রাজনৈতিক নেতৃত্বে রূপ নেয়, তবে এ আসনে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে।
কুমিল্লা-৫ আসনে আসন্ন নির্বাচনে ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরীর প্রার্থিতা এখন স্থানীয় ও জাতীয় রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। স্বাধীন প্রার্থী হিসেবে তাঁর উপস্থিতি ভোটারদের মাঝে নতুন আশা জাগিয়েছে। নির্বাচনী মাঠে ন্যায়ের অঙ্গীকার ও মানবকল্যাণের বার্তা নিয়ে তাঁর এই যাত্রা শেষ পর্যন্ত কতটা সফল হয়, তা দেখার জন্য উদগ্রীব পুরো এলাকা।