
মাহমুদুল হাসান কালাম
দুই দিন ধরে গোমতী নদীর পানি কিছুটা কমায় সাময়িক স্বস্তি ফিরেছে নদীপাড়ের মানুষের মাঝে। তবে সেই স্বস্তির পেছনে লুকিয়ে আছে গভীর উদ্বেগ—কারণ প্রতিরক্ষা বাঁধ পানি কমার সাথেই মাটিখেকোদের অবৈধ দখল ও মাটি কাটার কবলে পড়তে যাবে ।
গোমতীর পানি কমার খবরে মানুষ যখন কিছুটা আশ্বস্ত, তখনই মাটিখেকোদের তৎপরতা এক নতুন আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই অবস্থায় অবিলম্বে শক্ত প্রশাসনিক পদক্ষেপ ও স্থানীয় সচেতনতা বৃদ্ধি ছাড়া গোমতী ও কুমিল্লার ভবিষ্যৎ নিরাপদ নয়।
‘কুমিল্লার দুঃখ’ নামে পরিচিত গোমতী নদীর ভাঙন ঠেকাতে নির্মিত বাঁধ একসময় ছিল স্থানীয়দের আশার প্রতীক। কিন্তু বর্তমানে সেই বাঁধই রক্ষাহীন হয়ে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, কিছু অসাধু ব্যক্তি প্রশাসনের নজর এড়িয়ে প্রতিনিয়ত বাঁধের আশপাশ থেকে মাটি কেটে নিচ্ছে, যা পুরো বাঁধ ব্যবস্থাকে হুমকির মুখে ফেলেছে।
ভাঙন প্রতিরোধে নেওয়া উদ্যোগগুলো ব্যর্থ হওয়ার শঙ্কা ক্রমেই বাড়ছে। স্থানীয় সচেতন মহল বলছে, অবিলম্বে প্রশাসনিক নজরদারি, কঠোর আইনি ব্যবস্থা এবং স্থানীয় জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ ছাড়া এই বাঁধ রক্ষা সম্ভব নয়। অন্যথায়, একদিন হয়তো এই প্রতিরক্ষা বাঁধও হারিয়ে যাবে নদীগর্ভে—ফিরে আসবে সেই পুরোনো ভোগান্তি আর দীর্ঘশ্বাস।