
মোঃ শাহজাহান বাশার ,
“মানবতার ডাকে ঘুমিয়ে থাকা বিবেক জাগাও, ফিলিস্তিনের রক্তে লেখা হচ্ছে ইতিহাস”
ইসরাইলি আগ্রাসনে জর্জরিত ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় প্রতিনিয়ত ঝরছে নিষ্পাপ রক্ত। শিশুদের কান্না, মায়েদের আর্তনাদ, ধ্বংসস্তূপে পরিণত জনপদ—এ যেন এক জীবন্ত নরক! এমন নিষ্ঠুর সময়েও যখন বিশ্ব নেতারা নীরব, তখন একজন সংবাদকর্মীর বিবেক আর চুপ থাকতে পারেনি।
সাংবাদিক ও মানবতার নির্ভীক কণ্ঠ মোঃ শাহজাহান বাশার ফিলিস্তিনে চলমান এই গণহত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “মানবতা আজ রক্তাক্ত, আর মুসলিম উম্মাহ যেন নিঃশব্দ দর্শক! আমরা কি এমনটা চেয়েছিলাম? আমাদের ভ্রাতৃত্ব, আমাদের ঈমান, আমাদের আত্মমর্যাদা কোথায় গেল?”
তিনি বিশ্বের সব মুসলিম দেশকে আহ্বান জানিয়েছেন—এখনই সময় ঐক্যবদ্ধ হওয়ার। শাহজাহান বাশারের মতে, “একটি জাতির নিধন চললেও আমরা শুধু বিবৃতি দিয়ে দায় সারছি। অথচ ইতিহাস সাক্ষী, মুসলিমদের ঐক্য যখন জেগেছে, তখন অন্যায় থেমেছে।”
তিনি আরও বলেন, “গাজার ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে শুধু ইট-পাথর নয়, চাপা পড়েছে শিশুর ভবিষ্যৎ, একজন মায়ের কোল, একজন বাবার স্বপ্ন। ফিলিস্তিন আজ শুধু একটি ভূখণ্ড নয়—এটা মুসলিম জাতির আত্মার অংশ।”
“আমরা যদি এখনো না জাগি, তাহলে আগামী প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না। কেবল পোস্ট, প্রতিবাদ আর প্রার্থনায় সীমাবদ্ধ না থেকে আমাদের রাজনৈতিক, কূটনৈতিক ও মানবিকভাবে জোরালো অবস্থান নিতে হবে,” —জোরালো বার্তা দেন তিনি।
সকল সচেতন মহল, শিক্ষাবিদ, ধর্মপ্রাণ মানুষ এবং তরুণরাও সাংবাদিক শাহজাহান বাশারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ফিলিস্তিনের পক্ষে মত প্রকাশ করছেন।
বর্তমান দুনিয়ায় মানবতার প্রতি সহানুভূতি যেমন প্রয়োজন, তেমনি প্রয়োজন নির্যাতিতের পাশে দাঁড়ানো। ফিলিস্তিন আজ একটি রাষ্ট্রের নাম নয়, এটি একটি প্রতীক—অত্যাচারিতের প্রতিরোধ, নিপীড়িতের ন্যায়ের দাবী।
এ প্রতিবেদনের মাধ্যমে সাংবাদিক শাহজাহান বাশার শুধু সংবাদ পরিবেশন করেননি, বরং জাতির হৃদয়ে একটি প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন—
👉 “মানবতার এই রক্তাক্ত সন্ত্রাসে আমরা কতটা জীবিত?”