
চৌদ্দগ্রাম (কুমিল্লা) প্রতিনিধি: কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে সাবেক রেলপথ মন্ত্রী মো: মুজিবুল হক মুজিবের গ্রামের বাড়িতে হামলা, ব্যাপক ভাঙচুর, আগুন ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার (০৫ এপ্রিল) বিকেলে উপজেলার ৪নং শ্রীপুর ইউনিয়নের বসুয়ারা গ্রামের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। মুজিবুল হক কুমিল্লা-১১ (চৌদ্দগ্রাম) আসনের ৫ বারের এমপি ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের জাতীয় সংসদের হুইপ ও পরে মন্ত্রী ছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তিনি সপরিবারে আত্মগোপনে চলে যান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই শতাধিক লোকজনের সংঘবদ্ধ একটি দল শনিবার বিকেলে সাবেক মন্ত্রী মুজিবুল হকের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় তারা বাড়ির তিনটি ভবনের নীচতলায় ও দোতলায় ব্যাপক ভাঙচুর চালায় এবং ভবনে লুটপাট শেষে নীচতলার দরজা-জানালা ভাঙচুরসহ রক্ষিত মালামালে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়াও ওই বাড়িতে মন্ত্রী মুজিবুল হকের ভাই ও ভাতিজাদের বেশ কয়েকটি ঘরে একইভাবে লুটপাটসহ ভাঙচুর করা হয়। এসময় তার এক ভাই আবদুল মতিনের ছেলে জজ আবদুস সালামের ঘরে ভাঙচুর ও আগুন দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মুজিবুল হকের প্রতিবেশী এক যুবক বলেন, শনিবার আসরের নামাজের পর একদল যুবক ‘সন্ত্রাসীদের আস্তানা চৌদ্দগ্রামে থাকবে না’ স্লোগান দিতে দিতে মজিবুল হকের বাড়িতে প্রবেশ করে। এরপরই তারা ভবনের নিচতলার চেয়ার-টেবিলসহ বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। পুনরায় তারা মিছিল করতে করতে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়।
সংবাদ পেয়ে সন্ধ্যায় চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে যায়। এছাড়া সেনাবাহিনীর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে।
চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ জানান, ‘ভাঙচুরের সংবাদ পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। ফায়ার সার্ভিসের লোকজনও আসে। আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই আগুন নিভিয়ে ফেলা হয় এবং হামলাকারীরা চলে যায়। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। কে বা কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত এটি এখনো নিশ্চিত নয়। বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’