দেশের জনগণ শেখ হাসিনার সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করায় তার পদত্যাগপত্রের ভূমিকা নেই বলে দাবি করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ। একই বিষয়ে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া জানান, রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন বলে শুনেছেন কিন্তু তার কাছে এ-সংক্রান্ত কোনও দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই’ জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন সংবাদ মাধ্যমে যে বক্তব্য দিয়েছেন, এর প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম দুই সমন্বয়ক।
সোমবার দুপুরে ফেসবুক পোস্টে হাসনাত আব্দুল্লাহ লিখেন, একটি অবৈধ সরকারকে জনগণ অভ্যুত্থানের মাধ্যমে উৎখাত করেছে। এখানে পদত্যাগপত্রের কোনো ভূমিকা নেই।
এরপরই যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ফেসবুকে শেখ হাসিনা রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিলেন বলে মন্তব্য করে একটি পোস্ট করেন।
পোস্টে তিনি লিখেন, রাষ্ট্রপতির কাছে মৌখিকভাবে পদত্যাগ করেছিল স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা। পদত্যাগপত্র নিয়ে বঙ্গভবনে যাওয়ার কথা থাকলেও ছাত্র-জনতা গণভবনের কাছাকাছি চলে আসলে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয় খুনি হাসিনা।
উল্লেখ্য, গত ১৯ অক্টোবর ‘উনি তো কিছুই বলে গেলেন না…’ শিরোনামে মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরীর কাছে দেওয়া রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের এক বিশেষ সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন তিনি এবং তার কাছে ‘কোনও দালিলিক প্রমাণ নেই’ বলেও উল্লেখ করেছেন। সেই সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতির কাছে প্রশ্ন করা হয় ‘আপনার কাছে কি সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগপত্রটা আছে?’ উত্তরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন বলেন, ‘আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনও দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি।’
