বড়পীর আব্দুল কাদের জিলানী (র.) ইসলামের সঠিক দর্শন বিস্তারে দিশারির ভূমিকা রাখেন
পীরানে পীর দস্তগীর, গাউছুল আজম হযরত শেখ সুলতান মীর মহিউদ্দিন সৈয়্যদ আবদুল কাদের জিলানী (র.) ইসলামের সঠিক আকিদা বিস্তারে দিশারির ভূমিকা রাখেন বলে মন্তব্য করেছেন মাইজভান্ডার দরবার শরীফের সাজ্জাদানশীন ও বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি (বিএসপি) এর চেয়ারম্যান হযরত শাহসুফি ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী ওয়াল হোসাইনী আল মাইজভান্ডারী মাদ্দাজিল্লুহুল আলী।
তিনি বলেন, হিজরি ষষ্ঠ শতাব্দিতে যখন মুসলমানরা নানা বিভ্রান্তিতে পতিত হয়ে ধর্মবিমুখ হয়ে পড়েছিলেন, বিশ্বব্যাপী নানা ভ্রান্ত মতবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছিল এমন এক যুগসন্ধিক্ষণে পবিত্র কোরআন হাদীসের সঠিক ব্যাখ্যা দানের মাধ্যমে ইসলামের প্রকৃত রূপ, আক্বিদা-দর্শন তুলে ধরেন। ভ্রান্ত মতবাদের অসারতা প্রমাণ করে অধ:পতিত বিভ্রান্ত মানব সমাজকে ইসলামের আদর্শে অনুপ্রাণিত করেন। তিনি আরো বলেন, হযরত গাউসুল আযম আবদুল কাদের জিলানী (র.) আউলিয়ায়ে কেরামের মধ্যে সর্বোচ্চ মর্যাদার অধিকারী। দ্বীনি ও আধ্যাত্মিক সাধনার মাধ্যমে তিনি আল্লাহর নৈকট্য অর্জনে সক্ষম হন। তিনি যুগ যুগ ধরে বিশ্ব মুসলিমের হৃদয়ে স্মরণীয় হয়ে থাকবেন। পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) ও ফাতেহা–ই–ইয়াজদাহম উপলক্ষে রাউজান উত্তর সত্তা দরগাহ্ বাজার ঈদগাহ ময়দানে হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র.) কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক আয়োজিত সুন্নি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ট্রাস্টেরপরিচালিত হিফজখানা মাদরাসার দস্তারবন্দী অনুসঠানে ৪ জন হাফেজে কোরআন পাগড়ি দেওয়া হয় গত বছরের ৪ জনকে সনদ দেওয়া হয়।
হযরত আব্দুল কাদের জিলানী (র.) কল্যাণ ট্রাস্টের সহ সভাপতি আলহাজ্ব মোহামমদ আবদুল কুদ্দুস এর সভাপতিত্বে মাহফিলে কুরআন ও সুন্নাহর আলোকে বয়ান করেন পীরে তরিকত আল্লামা আবুল কাশেম নুরী, মাওলানা আবুল আসাদ জুবায়ের রজবী, মোহাম্মদ গোলাম মোস্তফা শায়েস্তা খাঁন আল আযহারী, মাওলানা মোঃ সেলিম উদ্দিন রেজভী প্রমুখ। উপস্থিত ছিলেন, খলিফা আব্দুল কুদ্দুস মাইজভান্ডারী, মইনীয়া যুব ফোরামের সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ আসলাম হোসাইনসহ আরো অনেকেই
।
সর্বশেষ সালাতু সালাম শেষে বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর সুখ-শান্তি, সমৃদ্ধি, কল্যাণ ও নিপিড়ীত মানবতার মুক্তি কামনায় আখেরী মুনাজাত পরিচালনা করেন, মাইজভান্ডার দরবার শরীফের বর্তমান ইমাম ও বিএসপি চেয়ারম্যান হযরত শাহসূফী ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ আল হাসানী মাইজভাণ্ডারী।