২০০৪ সালের সুনামির স্মরণে মালদ্বীপে এক মিনিট নীরবতা পালন

২০০৪ সালের ভয়াবহ সুনামির স্মরণে মঙ্গলবার মালদ্বীপের রাজধানীর সব সরকারি অফিস, প্রতিষ্ঠান ও কোম্পানির কর্মচারীরা এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

২০০৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর ঘটে যাওয়া সুনামির ভয়াবহতা ও ধ্বংসলীলার স্মৃতি আজও মনে রেখেছে মানুষ। ওই দিন ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের উপকূলে সমুদ্রগর্ভে সংঘটিত ভূমিকম্পের প্রভাবে সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হতে হয়

এই দিনটি মালদ্বীপে জাতীয় সংহতি দিবস হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

মঙ্গলবার ভোরে দেশব্যাপী সাম্প্রদায়িক ফজরের নামাজের মধ্য দিয়ে এ বছরের স্মরণসভা শুরু হয়।

সকাল ৯টা ২৩ মিনিটে সরকারি কর্মচারীরা তাদের অফিস ভবনের বাইরে লাইন তৈরি করে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

রাষ্ট্রপতি ড. মোহাম্মদ মুইজ্জু, তার মন্ত্রিসভার সদস্য এবং অন্যান্য শীর্ষ সরকারী কর্মকর্তারা রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের বাইরে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এদিকে, জাতীয় সংহতি দিবস উপলক্ষে ধীভেহি ভাষা, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য মন্ত্রী আদম নাসির ইব্রাহিম শহরতলির হুলুমালে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে নাসির মালদ্বীপের জীবনধারা সংরক্ষণের গুরুত্ব ের কথা বলেন।

“আসুন আমরা মালদ্বীপের জীবনধারা সংরক্ষণের চেতনা কে উৎসাহিত করি। সুনামি আমাদের এই শিক্ষা দিয়েছে। শুধু এই ভূমিই আমাদের ঐক্যবদ্ধ করে না।

২০০৪ সালের সুনামি রেকর্ড করা ইতিহাসের সবচেয়ে মারাত্মক প্রাকৃতিক দুর্যোগগুলির মধ্যে একটি।

মালদ্বীপে সুনামির আঘাতে বেশ কয়েকটি দ্বীপে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, বিশেষ করে নিম্ন-স্তরের দ্বীপগুলোতে।

এতে ৮২ জন নিহত হয় এবং ২৪ জন নিখোঁজ এবং মৃত বলে ধারণা করা হয়।এই দুর্যোগের ফলে আনুমানিক ৪৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয়েছে।