
মোঃ শাহজাহান বাশার, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
ভাবুন তো—যদি কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের আমলে ফেসবুক থাকতো!তাহলে তিনি যখন “শেষের কবিতা” লিখে পোস্ট দিতেন, কমেন্ট সেকশন হতো তুমুল জমজমাট।
কেউ লিখতো—“মশাই, নাম দিয়েছেন শেষের কবিতা, অথচ লিখেছেন উপন্যাস—মানুষের সঙ্গে এমন প্রতারণা না করলেই পারতেন!”আরেকজন বলতো—“গুরু, লাস্ট লাইন চারটা জাস্ট ফাটাইয়া দিছেন!”কেউ ঠাট্টা করে লিখতো—“এত প্রেমের কবিতা লেখেন, বউদি কি জানেন?”
আবার কেউ জিজ্ঞেস করতো—“চুল–দাড়ি কাটেন না কেন?”
আর কেউ লিখতো—“ব্রিটিশদের নাইট উপাধি না নিলেও পারতেন।”কিছু ‘সমর্থক টাইপ’ কমেন্ট আসতো—“পাশে আছি গুরু, সাপোর্ট দিলে সাপোর্ট পাবেন!”
রবীন্দ্রনাথ হয়তো মুচকি হেসে বলতেন”মানুষের ভাষা বদলায়, কিন্তু কৌতূহল, হিংসা আর ভালোবাসা একই থাকে।”
আজকের দিনে আমি রাজনীতি করছি—দেখি, দৃশ্যটা প্রায় একই রকম।আমি যদি বলি আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী, কেউ বলে “আওয়ামী লীগের লুকানো লোক”, কেউ বলে “বিএনপির প্রজেক্ট”,
কেউ আবার টেনে আনে ২০১৮ সালের নাগরিক ঐক্যের গল্প।
কেউ নিশ্চিত করে বলে দেন—“এই লোক গণতন্ত্র মঞ্চের।”
আবার কেউ লেখে—“ভাই, আপনি কনফিউজড রাজনীতিক!”,
আর কেউ ব্যঙ্গ করে—“ব্রু, মাঠে ভোট নাই, ফেসবুকেই বিপ্লব!”
কেউ হাসে, কেউ ব্যঙ্গ করে, কেউ আবার ইনবক্সে বলে—“পাশে আছি ভাই, কাজ করতে চাই।”
আমি হাসি। কারণ জানি—আমাদের সময়ের রাজনীতি এখন এমন—যেখানে যুক্তির আগে আসে মিম, মতের আগে আসে ট্রল।রবীন্দ্রনাথের যুগে কেউ ভুল বুঝতো তাঁর সাহিত্য, আর আজ ভুল বোঝা হয় আমার রাজনীতি।
তবু আমি বিশ্বাস রাখি—এই হাসিঠাট্টা, ব্যঙ্গ আর অপপ্রচারের ভেতর দিয়েই একদিন সত্যিকারের পরিবর্তনের সুর উঠবে।
যেমন রবীন্দ্রনাথের “শেষের কবিতা” সত্যিকার অর্থে “শেষ” ছিল না,
বরং এক নতুন সূচনার গল্প—তেমনি আমার পথও থেমে থাকবে না,বরং নতুন বাংলাদেশ গড়ার পথে এটা হবে একটুকরো দৃঢ় পদক্ষেপ।
বি:দ্র: রবীন্দ্রনাথের সঙ্গে তুলনা করার ধৃষ্টতা আমার নেই।তবু “সহমত–রহমত–একমত” ভাইদের মতোই, “ধমকমত” ভাইদের জন্যও এ লেখা আনতে হলো!)
ব্যারিস্টার সোহরাব খান চৌধুরী — আইনজীবী, রাজনীতিবিদ ও সামাজিক চিন্তক।তিনি কুমিল্লা–৫ (ব্রাহ্মণপাড়া–বুড়িচং) আসনের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
স্বচ্ছ রাজনীতি, নতুন প্রজন্মের অংশগ্রহণ ও মূল্যবোধভিত্তিক পরিবর্তনের পক্ষে কাজ করছি।






