
মোঃ শাহজাহান বাশার
মানুষের জীবনে দুঃখ, কষ্ট, আশা-নিরাশা—সবই রয়েছে জীবনের অংশ হিসেবে। আমরা প্রায়ই মানুষকে কেন্দ্র করে প্রত্যাশা তৈরি করি—কেউ আমাদের সাহায্য করবে, কেউ পাশে থাকবে, কেউ আমাদের প্রাপ্য সম্মান দেবে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, মানুষের কাছ থেকে প্রত্যাশা যত বাড়ে, ততই বাড়ে হতাশা।
মানুষ পরিবর্তনশীল। আজ যে পাশে আছে, কাল হয়তো থাকবে না; আজ যে প্রশংসা করছে, কাল সে-ই সমালোচনা করবে। তাই জীবনের সবচেয়ে বড় প্রশান্তি তখনই আসে, যখন আমরা মানুষের কাছ থেকে নয়, আল্লাহর কাছ থেকে প্রত্যাশা রাখতে শিখি।
আল্লাহর কাছে করা চাওয়া কখনো বৃথা যায় না। তিনি কখনো কাউকে নিরাশ করেন না। তিনি জানেন আমাদের প্রকৃত প্রয়োজন, জানেন কোনটা আমাদের জন্য কল্যাণকর। তাই যখন কোনো কিছু চাওয়ার প্রয়োজন হয়, তখন হাত তুলুন তাঁরই দরবারে। সেই চাওয়া ও প্রাপ্তি হয় অনেক গভীর, অনেক শান্তির।
মানুষের কাছ থেকে পাওয়া প্রাপ্তি একদিন হয়তো কৃতজ্ঞতা বা প্রতিদানের দায় হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু আল্লাহর দান এমন এক নেয়ামত, যার বিনিময়ে কিছুই দিতে হয় না—শুধু একটি “আলহামদুলিল্লাহ” বললেই তিনি আরও অনুগ্রহ বাড়িয়ে দেন।
কুরআনে আল্লাহ বলেন:“যদি তোমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করো, আমি তোমাদের আরও বৃদ্ধি করব।”
(সূরা ইব্রাহীম: ৭)
এই আয়াতটি আমাদের শিখিয়ে দেয়—কৃতজ্ঞতা হলো প্রাপ্তির চাবিকাঠি। আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞ মানুষ কখনো একা হয় না, কখনো হারায় না, কারণ তার হৃদয়ে থাকে তৃপ্তি ও শান্তি।
তাই জীবনের পথে মনে রাখুন —মানুষের কাছে প্রত্যাশা করবেন না, আল্লাহর কাছে করবেন।মানুষ ভুলে যেতে পারে, কিন্তু আল্লাহ কখনো ভুলে যান না।
মানুষ ফিরিয়ে দিতে পারে, কিন্তু আল্লাহ প্রতিদান দেন অগণিতগুণে বেশি।
যে মানুষ কৃতজ্ঞতা আর ভরসা শিখে নিয়েছে আল্লাহর ওপর, সে-ই প্রকৃত অর্থে সফল ও তৃপ্ত মানুষ।






