
মোঃ শাহজাহান বাশার,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় জারি হওয়া গ্রেপ্তারি পরোয়ানার ভিত্তিতে চাকরিতে কর্মরত ১৬ সেনা কর্মকর্তার মধ্যে ১৫ জন বর্তমানে সেনা হেফাজতে রয়েছেন। তবে বাকি একজন কর্মকর্তা পলাতক রয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে সেনাসদর।
শনিবার (১১ অক্টোবর) দুপুরে ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সেনাবাহিনীর অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেল মেজর জেনারেল মো. হাকিমুজ্জামান।
তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা মামলায় অভিযুক্ত সেনা সদস্যদের বিষয়ে সেনাবাহিনী আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিচ্ছে। সংবিধান ও রাষ্ট্রের আইনকে সর্বোচ্চ সম্মান প্রদর্শন করেই সেনাবাহিনী কাজ করছে এবং এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে পূর্ণ সমন্বয় রক্ষা করা হচ্ছে।
মেজর জেনারেল হাকিমুজ্জামান জানান, গত মাসের ৫ থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত সেনাবাহিনীর প্রমোশন বোর্ডের কার্যক্রম চলাকালে মেজর জেনারেল থেকে শুরু করে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা একত্রিত ছিলেন। বোর্ড শেষে অনুষ্ঠিত হয় জেনারেল কনফারেন্স ও ফরমেশন কমান্ডার কনফারেন্স, যেখানে নিরাপত্তাজনিত কারণে মোবাইল ফোন ব্যবহার নিষিদ্ধ ছিল।
৮ অক্টোবর দুপুরে বোর্ড শেষে বের হওয়ার পর জানা যায়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একটি মামলার চার্জশিট দাখিল হয়েছে এবং ওই দিনই ২৫ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ইস্যু করা হয়। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশ অনুযায়ী, ২২ অক্টোবরের মধ্যে এসব গ্রেপ্তার কার্যক্রম সম্পন্ন করার নির্দেশ দেওয়া হয়।
সূত্রে জানা গেছে, ট্রাইব্যুনালের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ২৫ জনের মধ্যে ৯ জন অবসরপ্রাপ্ত, একজন এলপিআরে (লিভ প্রিপারেটরি টু রিটায়ারমেন্ট) রয়েছেন এবং বাকি ১৫ জন বর্তমানে সেনাবাহিনীতে চাকরিরত।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানা হাতে পাওয়া যায়নি। তবে সংবিধান স্বীকৃত আইন ও আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিটগুলোকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, “বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সর্বদা আইনের শাসন ও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ট্রাইব্যুনালের নির্দেশনা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আইনি প্রক্রিয়া অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।”
এদিকে, পলাতক কর্মকর্তা সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছেন সেনাসদরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।





