
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলে আঘাত হানা ভয়াবহ ভূমিকম্পের একদিন পরও দুর্গত এলাকায় পৌঁছায়নি পর্যাপ্ত সাহায্য। কুনার প্রদেশের ঘাজিয়াবাদ গ্রাম কার্যত পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনো আটকা পড়ে আছে বহু মানুষ।
৫০ বছর বয়সী আবদুল লতিফ আল-জাজিরাকে জানান, রোববার (৩১ আগস্ট) রাতের ভূমিকম্পে তার বাড়ি ভেঙে পড়লে ছেলে, স্ত্রী ও মা মারা যান। তার আরও দুই আত্মীয়ের বাড়িও ধসে পড়ে। একটি বাড়িতে ১১ জন এবং অন্যটিতে ১৩ জন ছিলেন—কেউই বাঁচতে পারেননি। কিন্তু মরদেহ উদ্ধার করার কোনো উপায় নেই।
তিনি বলেন, আমরা শুধু মৃতদের ধ্বংসস্তূপ থেকে বের করার জন্য সাহায্যের খোঁজ করছি। ঠান্ডা পড়ছে, খাওয়ার কিছু নেই, থাকার কোনো জায়গা নেই—এ এক ভয়াবহ পরিস্থিতি।
ওই এলাকার আরেক বাসিন্দা ৪০ বছর বয়সী রাব্বানি জানান, তিনি বাবা-মা, চার সন্তান ও স্ত্রীসহ পরিবারের সাত সদস্যকে হারিয়েছেন। তার কথায়, এখনো অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছেন। কিন্তু ধ্বংসাবশেষ সরানোর কোনো উপায় নেই। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় পার হয়ে গেছে, তবুও আমাদের কাছে কোনো সাহায্য পৌঁছায়নি।
এর আগে তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ জানান, ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা এরই মধ্যে ১ হাজার ৪০০ ছাড়িয়েছে এবং আহতের সংখ্যা তিন হাজারের বেশি। ভয়াবহ এই দুর্যোগে পাঁচ হাজারেরও বেশি ঘরবাড়ি ধসে গেছে।
দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধস ও যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতার কারণে উদ্ধার অভিযান মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে বহু পরিবার এখনো ধ্বংসস্তূপে আটকা প্রিয়জনের জন্য অপেক্ষা করছে। আর দুর্গত এলাকায় ক্ষুধা, শীত ও আশ্রয় সংকট প্রকট হয়ে উঠছে।
সূত্র: আল-জাজিরা