রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সেনাপ্রধানের সাক্ষাৎ

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সোমবার সকালে তিনি প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবং পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

মোঃ শাহজাহান বাশার,সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার

রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান। সোমবার সকালে তিনি প্রথমে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে এবং পরে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।

এর আগে রোববার সেনাপ্রধান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রিফাত আহমেদের গুলশানের বাসায় সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন। এ সাক্ষাৎকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা এবং গুজব ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন পদত্যাগ করতে যাচ্ছেন—এমন গুজবও প্রচার হয়। তবে অনুসন্ধানে জানা গেছে, এসব তথ্য ভ্রান্ত ও ভিত্তিহীন।

সূত্র জানায়, প্রধান বিচারপতির সঙ্গে বৈঠকে সেনাপ্রধান পিলখানা ট্র্যাজেডি এবং গুম-নিখোঁজের তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম নিয়ে আলাপ করেন। তিনি এ বিষয়ে বিভিন্ন আইনি দিক ও প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চান।

উল্লেখ্য, সম্প্রতি চীন সফর শেষে দেশে ফিরেছেন সেনাবাহিনী প্রধান। গত ২০ আগস্ট তিনি সরকারি সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন এবং ২২ আগস্ট সেখানে পৌঁছালে তাঁকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়। সফরকালে তিনি চীনের স্থলবাহিনীর পলিটিক্যাল কমিশনার জেনারেল চেন হুই-এর সঙ্গে বৈঠক করেন।

সাক্ষাতে দুই দেশের মধ্যে কৌশলগত সহযোগিতা জোরদার, জনগণের পারস্পরিক যোগাযোগ বৃদ্ধি, জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের (রোহিঙ্গা) প্রত্যাবর্তনে সহযোগিতা এবং বাংলাদেশের সামরিক শিল্পের উন্নয়ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা ও প্রধান বিচারপতির সঙ্গে টানা বৈঠক রাজনৈতিক অঙ্গনে আলোচনার জন্ম দিয়েছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, চলমান রাজনৈতিক সংকট এবং গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে সেনাবাহিনী প্রধানের এসব সাক্ষাৎ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।