মালদ্বীপে বাংলাদেশের হাইকমিশনার হিসেবে দুই বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ পেয়েছেন ড. মো. নাজমুল ইসলাম। অন্তর্বর্তী সরকারের এই নিয়োগকে ঘিরে রাজনৈতিক প্রভাব, অভিজ্ঞতার ঘাটতি ও ব্যক্তিগত প্রেক্ষাপট নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ২৭ জুলাইয়ের এক প্রজ্ঞাপনে নাজমুল ইসলামের নিয়োগের ঘোষণা আসে। পরে ৩ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশে তাকে যোগদানের অনুরোধ জানানো হয়।
সূত্র জানায়, প্রথমে তাকে তুরস্কে রাষ্ট্রদূত হিসেবে নিয়োগের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তবে সেখানে পেশাদার কূটনীতিক দায়িত্বে থাকায় সেই প্রস্তাব কার্যকর হয়নি। পরে মালদ্বীপে শূন্য পদে তার নাম পাঠানো হলে দেশটির সরকার এগ্রিমো মঞ্জুর করে।
পটভূমি ও ব্যক্তিগত তথ্য
১৯৯২ সালে নোয়াখালীতে জন্ম নেওয়া নাজমুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিস অ্যান্ড কনফ্লিক্ট স্টাডিজে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন এবং তুরস্কের ইলদিরিম বায়েজিদ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি প্রায় এক যুগ ধরে তুরস্কে বসবাস করছেন এবং সেখানকার নাগরিককে বিয়ে করেছেন। তার স্ত্রী তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব পদে কর্মরত।
বিতর্ক ও সমালোচনা
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, এত কম বয়সে হাইকমিশনার নিয়োগের নজির বিরল। সাধারণত পেশাদার কূটনীতিকদের এ পদে পৌঁছাতে প্রায় ২০ বছর সময় লাগে। এছাড়া বিদেশি স্ত্রী থাকার কারণে ‘কনফ্লিক্ট অব ইন্টারেস্ট’ এবং নিরাপত্তাজনিত প্রশ্নও উঠেছে।
সাবেক রাষ্ট্রদূত হুমায়ুন কবীর বলেন, “রাজনৈতিক বিবেচনায় নিয়োগ দেওয়া হলেও তা যেন মর্যাদা ও পেশাদারিত্ব বজায় রেখে হয়।” চীনে বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত মুন্সী ফয়েজ আহমেদ মনে করেন, মালদ্বীপের ভূরাজনৈতিক জটিলতার কারণে সেখানে একজন অভিজ্ঞ কূটনীতিক পাঠানো উচিত।
এর আগে মালদ্বীপে হাইকমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন নৌবাহিনীর রিয়ার অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও রিয়ার অ্যাডমিরাল এস এম আবুল কালাম আজাদ।
এএনবি২৪ ডট নেট"একটি বহুল পঠিত অনলাইন বাংলা পোটাল, এটা কোন প্রিন্ট দৈনিক পত্রিকা নয়।
প্রকাশক, মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান কালাম,
প্রগতি স্বরণী, ঢাকা-১২২৯
+৯৬০৭৩৩৯৬৯১
+৮৮০১৬৪৭০৫৩৪৪৯
বি: দ্র: প্রকাশিত সংবাদে কোন অভিযোগ ও লেখা পাঠাতে আমাদের ই-মেইলে যোগাযোগ করুন। anbnewsbd@gmail.com
২০১২-২০২৫ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত – এএনবিটোয়েন্টিফোর ডট নেট/এই ওয়েবসাইটের লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।