
মো. শাহজাহান বাশার,স্টাফ রিপোর্টার
আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যে পুলিশের জন্য ৪০,০০০ বডি-ওয়্যার ক্যামেরা (বডিক্যাম) সংগ্রহের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। শনিবার (১০ আগস্ট) রাজধানীর রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে এক উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বকস চৌধুরী ও ফয়েজ তৈয়ব আহমেদসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ তৈয়ব আহমেদ জানান, বডিক্যাম ক্রয়ের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। অক্টোবরের মধ্যেই এসব ডিভাইস সংগ্রহ করে পুলিশকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে, যাতে নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রে নিরাপত্তা কার্যক্রম আরও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যায়।
তিনি বলেন, “৪০ হাজার বডিক্যাম পুলিশের হাতে পৌঁছালে হাজার হাজার ঝুঁকিপূর্ণ ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা আরও জোরদার হবে। এসব ডিভাইসে এআই সক্ষমতাসহ আধুনিক প্রযুক্তি থাকবে, যা পুলিশের নজরদারি ও প্রমাণ সংগ্রহ প্রক্রিয়াকে শক্তিশালী করবে।”
বাংলাদেশ সরকার জার্মানি, চীন ও থাইল্যান্ডের তিনটি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বডিক্যাম সরবরাহের জন্য যোগাযোগ করেছে। নির্বাচনের সময় এসব ক্যামেরা পুলিশ অফিসার ও কনস্টেবলদের বুকে পরিধান করতে হবে।
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বৈঠকে কর্মকর্তাদের দ্রুত ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং পুলিশের যথাযথ প্রশিক্ষণ নিশ্চিত করার নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, “আমাদের অবশ্যই সব ভোটকেন্দ্রে শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, খরচ যাই হোক না কেন। ফেব্রুয়ারির নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে হবে।”
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি বিষয়ক বিশেষ সহকারী আসন্ন নির্বাচনের জন্য একটি মোবাইল অ্যাপ চালুর পরিকল্পনার কথা জানান। এই অ্যাপে প্রার্থীদের বিস্তারিত তথ্য, ভোটকেন্দ্রের আপডেট এবং অভিযোগ জমা দেওয়ার সুবিধা থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা নির্দেশ দেন, অ্যাপটি দ্রুত চালু করতে হবে এবং দেশের ১০ কোটিরও বেশি ভোটারের জন্য এটি ব্যবহারবান্ধব করতে হবে।